• মঙ্গলবার , ১৪ মে ২০২৪

বিক্ষোভের মুখে এস আলম গ্রুপের বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ স্থগিত


প্রকাশিত: ১১:৫১ পিএম, ৭ এপ্রিল ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি/ জেলা প্রতিনিধি :  চট্টগ্Baskhali-cry-www.jatirkhantha.com.bdরামের বাঁশখালীতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে অবশেষে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ কাজ স্থগিত করেছে এস আলম গ্রুপ।বৃহস্পতিবার কোম্পানির একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। গত সোমবার বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষের লোকজন এবং এলাকাবাসীর মধ্যে বিক্ষোভের সময় পুলিশ গুলি চালালে অন্তত চারজন নিহত হন।

চীনের সহায়তায় সেখানে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুত নির্মাণে কাজ করছিল এস আলম গ্রুপ। এতে ব্যয় ধরা হয় ২৪০ কোটি ডলার বা ১৯২০ কোটি টাকা।নাম প্রকাশ না করার শর্তে এস আলম গ্রুপের একজন কর্মকর্তা জানান, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

‘উন্নয়ন কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে এবং আশা করছি শিগগিরই পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং কাজ শুরু করা যাবে,’ বলছিলেন ওই কর্মকর্তা।চীনের সেপকয়েলইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশনের সহায়তায় ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ৩৬০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

তবে এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের নেতা লিয়াকত আলী রয়টার্সকে বলেন, তারা বিক্ষোভ অব্যাহত রাখবেন। তিনি শুক্রবারের মধ্যে ওই প্রকল্প বাতিলে জন্য সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

‘প্রয়োজন হলে পিতৃভূমির জন্য জনগণ জীবন দেবে,’ বলছিলেন লিয়াকত।বিক্ষোভকারীরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তারা উদ্বাস্তু হবেন, তাদের স্বজনদের কবরের অস্তিত্বও থাকবে না এবং এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে।

নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চাইলে বাঁশখালী
থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প সরিয়ে নেবে সরকার

নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চাইলে বাঁশখালী থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প সরিয়ে নিতে সরকার সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।তিনি বলেন, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চাইলে বাঁশখালী থেকে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সরিয়ে নিতে সরকার সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বাঁশখালীতে পুলিশের গুলিতে নিহতদের
পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা!

বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা ইউনিয়নে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের গুলিতে গ্রামবাসী নিহতের ঘটনায় প্রত্যেকের পরিবার দশ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরন পাবেন। এছাড়াও আহত সবার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর রহমান নগরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সাংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

তিনি বলেন, ঘটনায় নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার এবং প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীকে যথাযতভাবে পুনর্বাসন করার ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় সংঘর্ষের জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী কে দায়ী করেন তিনি।

এমপি বলেন, পুরো বিষয়টি ছিলো পরিকল্পিত। তারা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে পায়দা হাসিলের জন্য গ্রামবাসীকে বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে উসকানী দিয়েছে এবং অবিলম্বে সকল বিভ্রান্তির অবসান হবে বলে আশা করেন তিনি।