• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বিএনপিকে হুশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করেন-


প্রকাশিত: ৮:০৫ পিএম, ৪ নভেম্বর ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৯ বার

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি : বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি। বাবা সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। আমিও সোনার বাংলা গড়তে চাই। এদেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল নিয়ে বলেন, এই মেট্রোরেল ঢাকাবাসীর জন্য উপহার। তবে মেট্রোরেল ব্যবহারে আমাদের যত্নবান হতে হবে, যাতে করে এটির ক্ষতি না হয়। শনিবার ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করে আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও আর ধ্বংসাত্মক আন্দোলনের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদের আন্দোলন অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন করা। এই আন্দোলন বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় কীভাবে বন্ধ করতে হয় তা আমাদের জানা আছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতোই দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন বলে উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাবা সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। আমিও সোনার বাংলা গড়তে চাই। এদেশের মানুষকে উন্নত জীবন দিতে চাই।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে ফেরার পর আমাকে অনেকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবং মানুষ মানব ঢাল তৈরি করে আমাকে বার বার বাঁচিয়েছে।এ দেশের জনগণ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকারে বসিয়েছে। আমার কাছে ক্ষমতা মানে জনগণের সেবা করা। আমি মানুষকে আমার জীবন দিয়ে হলেও সেবা করতে চাই। সে লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে।

সরকার প্রধান বলেন, দেশের মানুষ যেন ভালো থাকে সেজন্য আওয়ামী লীগ নানা উন্নয়নমূলক কাজ করছে। আমরা বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও বিনামূল্যে বই দিচ্ছি। দেশের মানুষের বাঁচানোর জন্য সব ব্যবস্থা নিচ্ছি।সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালাও-পোড়াও আর ধ্বংস করাই বিএনপির চরিত্র। তারা কথায় কথায় আগুন দেয়। বাসে আগুন দেয়। তাদের আন্দোলন অগ্নিসন্ত্রাস। তাদের আন্দোলন মানুষ খুন করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করা। তাদের আন্দোলন বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ না করে তাহলে কীভাবে বন্ধ করতে হয় তা আমাদের জানা আছে।
বিএনপিকে ভোটচোর আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটচোরদের স্থান বাংলাদেশে হবে না।এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে নিজ হাতে টিকিট কেটে এই অংশের উদ্বোধন করেন তিনি। পরে সেখান থেকে মেট্রেরেলে চেপে মতিঝিলে যান তিনি। সেখানে এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। পরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় মহাসমাবেশে অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ঢাকার মানুষের জন্য আমরা মেট্রোরেল নিয়ে এসেছি। যারা উত্তরায় বসবাস করেন তারা মাত্র ৪০ মিনিটে প্রতিদিন উত্তরা থেকে মতিঝিলে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। ইতোমধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে ২৫ হাজার যাত্রী চলাচল করছেন। আমি মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত এই মেট্রোরেল বর্ধিত করেছি। সেটার কাজও চলছে।সরকারপ্রধান বলেন, ‘সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাতাল রেল হবে। আকাশ রেল দেখলাম, এখন পাতাল রেল আমরা করব। সেটা নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

একইসঙ্গে এমআরটি লাইন ফাইভ, অর্থাৎ পাতাল রেলের কাজ উদ্বোধন করে দিয়েছি। এটাও ঢাকাবাসীর জন্য উপহার হিসেবে দিয়ে গেলাম। এমআরটি লাইন-৬ উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বর্ধিত করা হবে। এটার সমীক্ষা চলছে। মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য ১২ হাজার প্রকৌশলীর চাকরির ব্যবস্থা হচ্ছে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই ঘাতকরা তাকে হত্যা করে। আমাদের জয় বাংলা স্লোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল।

‘১৫ আগস্ট আমাদের জাতীয় জীবনের একটি কালো অধ্যায়। ১৫ আগস্টের সময় যারা সরকারে ছিল তারা জনগণের জন্য কিছুই করেনি।তিনি বলেন, ‘সোনার বাংলাদেশ আমি গড়তে চাই। এই ঢাকার মানুষের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি মেট্রোরেল। যানজটে কষ্ট পেতে হবে না, রাস্তায় আটকে থাকতে হবে না। যারা চাকরিজীবী, যারা কর্মজীবী, ছাত্র-শিক্ষক, বিশেষ করে আমার মেয়েরা, নারীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে এই মেট্রোরেলে।’