‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমের তথ্য এনআইডিতে যাচ্ছে’
বিশেষ প্রতিবেদক. চট্টগ্রাম : আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শেষ করার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে এরিকসন বাংলাদেশের কার্যালয় ও ‘ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) পোর্টাল’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩০ এপ্রিলের পর যেটি করবো সেটি হলো ক্রমান্বয়ে যেসব মোবাইল ফোন কোম্পানির সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হয়নি সেগুলোতে সংকেত পাঠাবো। কয়েক ঘণ্টার জন্যে একটু বন্ধ করে দেওয়া হবে। এভাবে ক্রমান্বয়ে একপর্যায়ে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা এটি করবো কারণ কয়েক ঘণ্টা বন্ধ করে ইংগিত দিলে সিমের মালিক গিয়ে নিবন্ধন করে নেবেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তারানা হালিম বলেন, আমি বারবার বলেছি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমের তথ্য এনআইডিতে যাচ্ছে। অন্য কোথাও সংরক্ষিত হচ্ছে না। এটি আমি এনসিওর করছি।
ইন্টারনেট খরচ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট খরচ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। আমার ইচ্ছে আছে আরো কমানোর। অপটিক্যাল ফাইবার বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছি।
ওয়্যারলেসের ওপর কাজ করছি। মেইনটেইনেন্স খরচ দিয়ে কুলিয়ে ওঠা যায় না। আমি সরকারের রাজস্বের ক্ষতি করতে চাই না। অলরেডি আমরা কমদামে ইন্টারনেট দিচ্ছি। আরো কমে দেওয়ার ব্যাপারে এ বছর আমার এজেন্ডা আছে। দেখা যাক কতটুকু কী করা যায়।
বিটিআরসি ও টেলিটক প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আসার পর অনেক কাজে হাত দিয়েছি। এর মধ্যে একটি ছিল অতিরিক্ত কোনো সুবিধা না দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের জন্য টেলিটককে উপযুক্ত করে তোলা। ইতিমধ্যে টেলিটকের সিম বৃদ্ধি করেছি, রিটেইলার বৃদ্ধি করেছি, কাস্টমার কেয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি। টেলিটকের রিব্রান্ডিং করেছি।
পরবর্তী পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক একেবারে নিরবচ্ছিন্ন যাতে থাকে সেই চেষ্টা করবো। টেলিটকের ইনিশিয়েটিভ ইনভেস্টমেন্ট কম ছিল। প্রথম ইনভেস্টমেন্টের পরে আর বাড়ানো হয়নি। আমরা সরকারের কাছ থেকে চাইবো, নয়তো বাইরে থেকে সফট লোন নেবো। নেটওয়ার্ক উন্নত করবো। টেলিটকের টু পয়েন্ট ফাইভ জি, থ্রি জি সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। বিকাশের সঙ্গে টেলিটকের চুক্তি হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আমরা কিন্তু বসে নেই।
এরিকসনের আইওটি প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিনদিন এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ করেছি। কিন্তু যন্ত্রের সঙ্গে, কারখানার সঙ্গে, সমাজের সঙ্গে ইন্টারনেট স্থাপন বাকি আছে। যখন বার্সেলোনা গিয়েছিলাম এরিকসনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি কী নিয়ে যাচ্ছি দেশে?