• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

বায়তুল মোকাররমে বঙ্গবন্ধুর নামে ডিজিটাল লাইব্রেরী করবেন বসুন্ধরা এমডি


প্রকাশিত: ৫:৩৬ পিএম, ৪ জুন ২২ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১৯ বার

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ডিজিটাল ইসলামী লাইব্রেরি নির্মিত হবে। নিজ অর্থায়নে এমন একটি লাইব্রেরী করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর। গত বৃহস্পতিবার রাতে কমিটির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন তিনি। এছাড়া চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ জন সামর্থহীন মানুষকে ওমরাহ হজে পাঠানোর কথাও জানান তিনি।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীরের সাথে মতবিনিময় সভায় মসজিদ ভবনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বেশ কিছু অফিস থাকলেও দীর্ঘদিনেও এখানে অত্যাধুনিক কোনো লাইব্রেরী না হওয়াসহ বিভিন্ন ধরণের সংকটের কথা তুলে ধরেন বায়তুল মোকারমের পেশ ইমাম, মুসল্লি কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টরা। এসব দাবি দাওয়া শুনে ইসলামী ফাউন্ডেশনের অনুমতিক্রমে, বঙ্গবন্ধুর নামে ডিজিটাল ইসলামী লাইব্রেরি নির্মাণ করে দেয়ার ঘোষণা দেন সায়েম সোবহান আনভীর। এ উদ্যোগের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানান উপস্থিত মুসল্লিরা।

মত বিনিময় সভায় সায়েম সোবহান আনভীর বলেন, বায়তুল মোকাররমের সঙ্গে আমরা অনেক আগে থেকেই যুক্ত। আমাদের নিউজটুয়েন্টিফোর চ্যানেলেও প্রতি শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদের জুমার নামাজের খুতবা সরাসরি সম্প্রচার করি। যা একমাত্র বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলের মধ্যে আমরাই করে থাকি। আর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলি। কিন্তু আমাদের জাতীয় মসজিদেই ডিজিটালের লাইব্রেরী নেই। তাই ইসলামী ফাউন্ডেশনের অনুমতিক্রমে এই মসজিদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইসলামিক লাইব্রেরী করার জন্য যত টাকা লাগবে আমি দেব। আপনারা কাজ শুরু করেন। এছাড়া অন্যান্য বিষয়গুলো মুসল্লি কমিটির সঙ্গে আলাপ সঙ্গে সমাধান করবো।

তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন আমাদের কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রতিদিন ইসলামিক পাতা বের করি। আমরা সব সময় ইসলামের সঙ্গে আছি। গত ২১ বছর ধরে তিনি বসুন্ধরা গ্রুপেরব্যবস্থপানা পরিচালক আছেন জানিয়ে আনভীর আরো বলেন, এ সময়ে আমার হাত দিয়ে হাজারের বেশী মসজিদ তৈরি হয়েছে। আমার কাছে আজ পর্যন্ত যাঁরা মসজিদের জন্য এসছে কাউকে খালি হাতে ফিরে যেতে দেয়নি। সেটা মসজিদ,মাদরাসা ইসলামের সঙ্গে যুক্ত যে কোন প্রতিষ্টানই হোক। আগামী যতদিন আমি থাকবো কেউ খালি হাতে যাবে না ইনশাল্লাহ। এছাড়া আমি যতদিন বেঁচে থাকবো প্রতি রমজান মাসে বায়তুল মোকারমে মুসল্লিদের ইফতার খাওয়াবো। আপনার সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

সভায় বায়তুল মোকাররম জাতীয়য় মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গোল্ডেন স্টার ইলেকট্রনিকের চেয়ারম্যান আলী আসগর টগর এমপি, জে.সি.এক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল, মিনিস্টার গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক খাঁন, নিপ্পন গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মহববত উল্লাহ,বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক, পেশ ইমাম মুফতি মহিবুল্লাহ বাকী, পেশ ইমাম মুফতি এহসানুল হক, পেশ ইমাম মুফতি মহিউদ্দীন কাশেম,মুসল্লি কমিটির সহ সভাপতি গুলজার আহমেদ।

এছঅড়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ বসুন্ধরা-এর মহা পরিচালক মুফতি আরশাদ রহমানিও বায়তুল মোকারম মার্কেট ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক মোল্লা প্রমুখ।উল্লেখ্য, বাইতুল মোকাররম মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৮ সালে। সময়ের পরিক্রমায় এটিকে ঘোষণা করা হয় জাতীয় মসজিদ। এখানে একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন ৩০ হাজার মুসল্লি, জুমার দিনে মুসল্লির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০ হাজারে।