• বুধবার , ১৫ মে ২০২৪

বাবুবাজারে অন্নি মেডিকেলের মমিন উল্ল্যাহ’র চোরাই রাজত্ব তছনছ


প্রকাশিত: ১২:১০ এএম, ২২ মে ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৭ বার

এস রহমান   :   অবশেষে ধরা পড়ল সরকারি ওষুধ চোর সিন্ডিকেটের গডফাদাররা। এই সিন্ডিকেটের Babubazer medicin-www.jatirkhantha.com.bdনায়ক মমিন উল্ল্যাহ। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বাবুবাজারের সেই অন্নি মেডিকেলের মমিন উল্ল্যাহ’র চোরাই রাজত্ব তছনছ হয়ে গেছে।

রাজধানীর কোতোয়ালী থানাধীন বাবুবাজারের ছয়টি ওষুধের দোকানে অভিযান চালিয়ে দুই কোটি টাকা মূল্যের সরকারি হাসপাতালের ওষুধ জব্দ করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বিক্রয় নিষিদ্ধ গরু মোটাতাজাকরণ ও যৌন উত্তেজক ওষুধসহ বিভিন্ন ভারতীয় ওষুধ বিক্রির দায়ে বাবুবাজারের ছয় ওষুধ ব্যবসায়ীকে জেল-জরিমানা করেন আদালত।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আলী চেয়ারম্যান মেডিসিন মার্কেটে র‌্যাব-১০ এবং ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের যৌথ উদ্যেগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে সেবা মেডিকেল হলের গোডাউন থেকে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বিতরণ যোগ্য প্রোভেরা ইঞ্জেকশনসহ বিক্রয় নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ পেরিয়াকটিন, গাইনোকোসাইড, কুইন ভ্যাক্সেন, টিটাগাম, সিয়ালিস, টেট্রাক্স, ওনাগ্রা, হটেগ্রা, টারগেট, ডানো টিটি ভ্যাক্সিন, ম্যাক্সম্যান নামীয় বিপুল পরিমাণ ওষুধ এবং ঘনচিনি জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এসব অপরাধের অভিযোগে সেবা মেডিকেল হলের মালিক সালাউদ্দিনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া একই মার্কেটের শিমন ড্রাগ হাউজে অভিযান চালিয়ে পাঁচ প্রকারের বিপুল পরিমাণ সরকারি ওষুধসহ ১১ ধরনের বিক্রয় নিষিদ্ধ ভারতীয় ওষুধ জব্দ করা হয়।

ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক সৈকত কুমার কর জানান, সরকারি ওষুধের উৎস এবং সরবরাহকারী কারা এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক পারভেজ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আদালত এ সমস্ত অপরাধের কারণে শিমন ড্রাগ হাউজের মালিক পারভেজ আলমকে দেড় বছরের জেল প্রদান করেন।

একই মার্কেটের অন্নি মেডিকেল হলে অভিযান চালিয়ে ২১ ধরনের বিপুল পরিমাণ সরকারি ও ভারতীয় ওষুধ জব্দ করায় প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মমিন উল্ল্যাহ্কে নয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়া বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির দায়ে রায়হান মেডিসিন কর্নারের মালিক রায়হানকে দেড় লক্ষ টাকা, রিপন মেডিসিন হাউজের মালিক মো. আরিফ হোসেন রিপনকে তিন লক্ষ টাকা এবং ইসলামিয়া মেডিকেল ফার্মার মালিক বাবুল হোসেনকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সহকারী পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম পিপিএম, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক সৈকত কুমার কর, মাহবুব হোসেন ও নিপা চৌধুরী।