বান্ধবীর বাসায় ফূর্তি-ধরা খেয়ে খুনের ঝামেলায় পাকরাও শাহাবুদ্দীন নাগরী
এস রহমান : এবার বান্ধবীর বাসায় ফূর্তি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে খুনের ঝামেলায় পাকরাও হয়েছে শাহাবুদ্দীন নাগরী।পুলিশ জানায়, ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম (৪৮) হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে কবি-লেখক শাহাবুদ্দীন নাগরীকে। আজ তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
সোমবার সকালে রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকার বাসা থেকে নিউমার্কেট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দুপুরে আদালতে হাজির করে নাগরীকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। নিহত নুরুল ইসলাম গাড়িতে খাবার সরবরাহের ব্যবসা করতেন। রাজধানীর কাকরাইলে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল রাতে ১৭০/১৭১ নম্বর এলিফ্যান্ট রোডের একটি ভবনের পাঁচতলার ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে রোববার ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নুরানী আক্তার সুমীকেও গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।পুলিশ বলছে, সাবেক কাস্টমস কমিশনার শাহাবুদ্দীন নাগরীর বন্ধু সুমী। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওই ব্যবসায়ীর বোন শাহানা রহমান কাজল বাদী হয়ে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
নুরুল ইসলামের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশের ধারণা, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুজন ছাড়াও অজ্ঞাত-পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। ওই ফ্ল্যাটে নিঃসন্তান নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সুমী থাকতেন। শাহানা রহমান বলেন, গত ১৩ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে খবর পেয়ে তিনি তার ভাই নুরুল ইসলামের বাসায় যান। সেখানে গিয়ে শোবার ঘরের মেঝেতে ভাইয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
নিউমার্কেট থানার ওসি আতিকুল ইসলাম জানান, রোববার নিহতের স্ত্রী সুমীকে গ্রেফতার করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তিনি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ওই রাতে বাসায় তার বন্ধু শাহাবুদ্দীন নাগরী এসেছিলেন। তবে হত্যার বিষয়ে অসংলগ্ন কথা বলছেন।
এরপরই সোমবার সকালে শাহাবুদ্দীন নাগরীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি। পুলিশের রমনা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ওই ফ্ল্যাটে শাহাবুদ্দীন নাগরী নিয়মিত যাতায়াত করতেন। ঘটনার রাতেও তিনি ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন—সিসিটিভি ফুটেজে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তদন্তে জানা গেছে, ফ্ল্যাটটির ভাড়াও দিতেন শাহাবুদ্দীন নাগরী।’ হত্যাকাণ্ড বিষয়ে তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।