বাড়িভাড়া নিয়ে কোন্দল-আ’লীগ নেতা বের করেন শর্টগান
ফরিদপুর বোয়ালমারি প্রতিনিধি : এভাবে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কবিরের কাছ থেকে শটগান কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয় কয়েকজন। ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বাড়িভাড়া নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে শটগান বের করেন।বৃহস্পতিবার বিকেলে বোয়ালমারী পৌর এলাকার চৌরাস্তা সংলগ্ন খান প্লাজায় এ ঘটনা ঘটে।অভিযুক্ত গোলাম কবির ফরিদপুর জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সাবেক সদস্য। পেশায় তিনি চিকিৎসক।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, খান প্লাজার চতুর্থ তলা ভাড়া নিয়ে ‘ডা. গোলাম কবির নার্সিং ইনস্টিটিউট’ নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন গোলাম কবির। খান প্লাজার সত্ত্বাধিকারী সালমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া নিয়ে বিরোধ চলছিল তার। এ নিয়ে একে-অপরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করেছেন। গোলাম কবির একটি লাইন্সেসকৃত শটগান কিনেছেন এবং বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি সেটি নিয়ে নার্সিং ইনস্টিটিউটে যান। এ সময় ভাড়া নিয়ে ভবন মালিক সালমা বেগম ও তার মেয়ের সঙ্গে তিনি বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
খান প্লাজার ব্যবসায়ী মিজান চৌধুরী বলেন, গোলাম কবির ও সালমার মধ্যে ধস্তাধস্তি হচ্ছে দেখতে পাই। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।ভবন মালিক সালমা বেগম বলেন, গোলাম কবির ভবনের একটি ফ্ল্যাটে নার্সিং ইনস্টিটিউট পরিচালনা করেন। তিনি ঠিকমতো ভাড়া দেন না। আজ দুপুরে তিনি ভবনে এলে তার কাছে ভাড়া চাই। তখন তিনি ব্যাগ থেকে শটগান বের করে গুলি করার চেষ্টা করেন।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে গোলাম কবির বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। আমি নতুন একটি শটগান কিনেছি নিজের নিরাপত্তার জন্য। নার্সিং কলেজ থেকে লাইসেন্সের কাগজপত্রসহ শটগানটি নিয়ে ফরিদপুর ডিসি অফিসে যাওয়ার জন্য নিচতলায় নামলে ভবন মালিক সালমা বেগম ও তার মেয়ে নিপা আমার সঙ্গে জোরজবরদস্তি করে অস্ত্রটি কেড়ে নিতে চায়। তখন তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।শটগান জব্দকারী বোয়ালমারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, গোলাম কবির শটগানের নতুন লাইসেন্স করেছেন। আজ তার ডিসি অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। বিল্ডিং মালিকের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার খবর পেয়ে অস্ত্রসহ তাকে থানায় আনা হয়েছে। বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, অস্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। তবে গোলাম কবিরকে আটক করা হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।এভাবে প্রকাশ্যে জনসমক্ষে অস্ত্র প্রদর্শন ও ভয়ভীতি দেখানো আইনগত অপরাধ। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন, যোগ করেন তিনি।