• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

‘বাংলাদেশ নয় ৩০ বছর সাজাপ্রাপ্ত তোর (তারেক) মেরামত দরকার’


প্রকাশিত: ৮:০৩ পিএম, ২৬ জানুয়ারী ২৩ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৫ বার

সংসদ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন , ৩০ বছর সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়া লন্ডনে বসে বলতেছে বাংলাদেশ মেরামত করতে চায়। আরে আগে তো তোর (তারেক) মেরামত করা দরকার। তুমি পারলে বাংলাদেশে আসো। তুমি যদি বাংলাদেশে আসো, তাহলে জনগণ তোমাকে কীভাবে মেরামত করবে.. অধীর আগ্রহে তোমার জন্য বসে আছে। কিন্তু আসবে না, ও কোনো দিন বাংলাদেশে আসবে না।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচন করতে পারবেন না উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, রাজনীতি করবে না এমন মুচলেকা দিয়ে বাসায় গিয়েছে খালেদা জিয়া।আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন শেখ সেলিম।

খালেদা জিয়ার ভাই ও বোন প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অনুরোধ করেছিল হাসপাতাল থেকে বাসায় আনার জন্য বলে জানান শেখ সেলিম। তিনি বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সরাসরি বাসায় আনা যায় না। যদি বাসায় বসে আবার রাজনীতি করে। সেই জন্য তাদের বললো (প্রধানমন্ত্রী) বাসায় এসে যদি আবার রাজনীতি করে তাহলে সেটাতো দেওয়া যাবে না। তখন তারা মুচলেকা দিয়ে বলেছে খালেদা জিয়া রাজনীতি করবে না। সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাজনীতি করবে না। মুচলেকা দিয়েছে, আর সে ১০ তারিখে (১০ ডিসেম্বর) এসে ক্ষমতা দখল করবে। শেখ হাসিনার পতন ঘটাবে। এসব হল জনগণকে বিভ্রান্ত ও তাদের লোকদের কিছু খোরাক দেওয়ার জন্য।

তারেক রহমান ২০০৭ সালে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশি গিয়েছে উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন,‘একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তাঁর ৩০ বছর সাজা হয়েছে। মানিলন্ডারিং মামলায় সাত বছর সাজা হয়েছে। তারেক জিয়া কখনোই ঢাকায় আসবে না। ঢাকায় আসলে তাকে জেলে যেতে হবে। জেলে গেলে রাজনীতিতো দূরের কথা কখনোই নির্বাচনই করতে পারবে না।

শেখ সেলিম বলেন, কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে আমাদের রাজনীতির ব্যাপারে কিছু কূটনীতিকেরা তোড়জোর করছে। কারও কারও বাড়িতেও গিয়ে হাজির হচ্ছে। একি আশ্চর্য! কি বিচিত্র এই দেশ। আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নাই। আমাদের রাজনীতি নির্ধারণ করবে জনগণ। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছি। আমাদের কোনো প্রভু নেই। আমাদের প্রভু হলো এই দেশের জনগণ। কারও প্রেসক্রিপশনে এই বাংলাদেশ চলবে না।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, আমাদের রাজনীতি নিয়ে কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ করা এবং দায়িত্বহীন কথা… আমরা কী তাদের দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা বলি? আমরা তাদের নির্বাচনে কথা বলি? আমেরিকার নির্বাচন কারচুপি হয়েছে বলেছিল..আমরা কী সেখানে গিয়ে বলেছি আসো আমরা সালিসে করি। কিছুদিন আগে মালয়েশিয়া নির্বাচন নিয়ে একই অভিযোগ উঠেছিল। ওখানে কি আমরা হস্তক্ষেপ করেছি? আমাদের দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো বিদেশি কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই। বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সেটা দেখার জন্য দেশের জনগণই যথেষ্ট বলে জানান শেখ সেলিম। তিনি বলেন, যে দেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুর ডাকে রক্ত দিতে পারে। সেই দেশের জনগণ বাইরের মাতবরি মেনে নিবে না।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, ‘কে আসলো, কে আসলো না.. ওই সত্তর সালের নির্বাচনেও মাওলানা ভাসানীর ন্যাপ হঠাৎ করে নির্বাচন থেকে উঠে চলে গেলেন। আজকে তাঁর পার্টির অবস্থান কোথায়? তোমরা যদি একটার পর একটা নির্বাচন না করো, তোমাদেরও করুণ পরিণতি হবে। মুসলিম লীগ ও ভাসানী ন্যাপের মতো হবে। বাংলাদেশে কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে বিপক্ষের শক্তি কখনোই বিজয়ী হতে পারে না।