• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘বাংলাদেশ ‘ওয়ান বেল্ট…রোড সমর্থক’


প্রকাশিত: ৬:২৬ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫০ বার

স্টাফ রিপোর্টার:   তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বাংলাদেশ এক চীন নীতি ও চীনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ নতুন উদ্যোগের দৃঢ় সমর্থক। সেই সঙ্গে সামরিক হস্তক্ষেপমুক্ত শান্তিপূর্ণ বিশ্বায়ন enu-www.jatirkhantha.com.bdএবং গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক পথে উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নতি ও বৈষম্যমুক্ত সমৃদ্ধিতে বিশ্বাসী বাংলাদেশ।বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সিনিয়র নেতা ওয়াং ইয়াজুনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। সকালে ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট দলগুলোর প্রতিনিধিদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

সমাজতান্ত্রিক ও কমিউনিস্ট দলগুলোর প্রতিনিধির মধ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, জাসদ প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বৈঠকের শুরুতে তার দলের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিদলের কাছে বক্তব্য তুলে ধরেন এবং বৈঠকের পর বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে চীনের অ্যাসিসট্যান্ট মিনিস্টার অব ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট অব সিপিসি (কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না) ওয়াং ইয়াজুনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিপিসির কংগ্রেস সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এবং শি জিং পিং দলের সাধারণ সম্পাদক ও চীনের প্রেসিডেন্ট হলেন।

কংগ্রেসে তারা কি নীতি গ্রহণ করলেন, সেই নীতিটা বাংলাদেশের জনগণ রাজনীতিবিদদের জানানোর জন্য তারা এখানে এসেছেন। আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের একটি বন্ধু প্রতীম চীন, তাদের দেশে কিভাবে অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং বিশ্ব সমস্যা সমাধানের জন্য নীতি গ্রহণ করেছে, তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ মতবিনিময় হয়েছে এই বৈঠকে। উন্নয়নকামী বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম দেশ চীনের এ ঘনিষ্ঠ মতবিনিময় উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

আলোচনা বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে আমরা বলেছি, বাংলাদেশ ‘এক চীন নীতি’ সমর্থন করে, চীনের প্রেসিডেন্ট যে নতুন ‘ওয়ান বেল্ট-ওয়ান রোড’ নীতি গ্রহণ করেছেন, সেটিও সমর্থন করে। আমরা মনে করি, উন্নয়নশীল দেশের জন্য সমাজতান্ত্রিক পথ অনুসরণ করা মঙ্গলজনক, কারণ তা উন্নয়নও দেবে বৈষম্যও কমাবে। সেইসঙ্গে সামরিকীকরণ, আধিপত্যবাদ ও বহি:হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত বিশ্বায়নের সমর্থক বাংলাদেশ।

হাসানুল হক ইনু বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, আমরা বলেছি, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাংলাদেশ তার বন্ধুপ্রতিম দেশ চীনের সক্রিয় সমর্থন ও জোরালো ভূমিকা আশা করে। এর আগে বৈঠকে চীনা দলনেতা ওয়াং ইয়াজুন পুনরায় নির্বাচিত তাদের পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শুভেচ্ছা ব্যক্ত করেন। চীনের নতুন নীতিমালা ব্যাখ্যাকালে তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ সমূহের চীনের পক্ষ থেকে দ্রুত অর্থ ছাড় করা হবে।

Save