‘বাংলাদেশ ইসলামি পর্যটনের ভান্ডার’
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ইসলামি পর্যটনের বিশাল ভান্ডার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এদেশে ইসলামি পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তিনি ইসলামি পর্যটনকে ‘বিশ্ব বাণিজ্য ব্র্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তোলার’ও আহ্বান জানিয়েছেন। শেখ হাসিনা জানান, এর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও রোডম্যাপ থাকা জরুরি। বাংলাদেশের পর্যটনকে আকর্ষণীয় করতে সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
রাজধানীর একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার সকালে ‘ঢাকা অ্যাজ দা ওআইসি সিটি আব টুরিজম ২০১৯’ উদ্যাপন উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইসলামি পর্যটনকে ‘বিশ্ব বাণিজ্য ব্র্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও রোডম্যাপ থাকা জরুরি। ইসলামি পর্যটনের বিকাশে আন্তঃ-ওআইসি পর্যটক প্রবাহ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভিসা সহজীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্র্যান্ডিং ও মানোন্নয়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।”
ইসলামি পর্যটনের বিশাল আকার ও বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “ওআইসির ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে মুসলিম টুরিস্টের সংখ্যা ১৫৬ মিলিয়ন, যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০ মিলিয়নে। একই বছর সারা বিশ্বের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ হবে মুসলিম।”তিনি আরও বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহ পর্যটন খাতের অবকাঠামো ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তাদের বেসরকারি খাতকে একক ও যৌথভাবে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ দেবে।”
বিকাশমান ইসলামি অর্থনীতির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইসলামি অর্থনীতি’ বর্তমানে নবরূপে বিকাশ লাভ করছে। হালাল ফুডস, ইসলামি ফাইন্যান্স, হালাল ফার্মাসিউটিক্যালস এবং প্রসাধনী, হালাল পর্যটন ইত্যাদি ইসলামিক অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান খাত। এ খাতগুলো বিকাশের জন্য ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব একান্ত প্রয়োজন।”