বাংলাদেশে জঙ্গি হুমকি নাই:মনিরুল
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে আইএস হুমকি নাকচ করলেন মনিরুল ইসলাম।বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গে হামলার পরিকল্পনা করছে ইসলামিক স্টেট বা আইএস! ইসলামিক স্টেটকে সমর্থনকারী একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া একটি পোস্টার এমনই ইঙ্গিত করছে। ওই পোস্টারে লেখা, ‘শিগগিরই আসছি, ইনশাল্লাহ..। এ খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। ওদিকে এ সম্পর্কে বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বললেন,বৈশ্বিক ঝুঁকির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ঝুঁকিতে থাকলেও কোনো হামলার আশঙ্কা নেই ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে এই পোস্টারটি প্রকাশ করা হয়। মুরসালাত নামে আইসিস-এর একটি শাখা সংগঠনের লোগোও রয়েছে পোস্টারের গায়ে। শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ হামলার পর গোয়েন্দা সংস্থা এই পোস্টারটিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডেতে চার্চ ও অভিজাত হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ হামলায় ‘প্রায় ২৫৩ জন’ নিহত হন। এছাড়া হামলায় পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হন।ইতিমধ্যে এ হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির পুলিশ ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে খবরে বলা হয়েছে। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।
এদিকে বৈশ্বিক ঝুঁকির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ঝুঁকিতে থাকলেও কোনো হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।তিনি বলেন, কোনো ধরনের হুমকি বা হামলার তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে নেই।শনিবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলার পর বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে একটি প্রতিশোধপরায়ণ প্রবণতা জেগে উঠেছে। আমাদের বিভিন্ন ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে কিছু তথ্য পেয়েছি। তবে হামলার জন্য যে পরিমাণ সরঞ্জামের প্রয়োজন সেগুলো জোগাড় করা অনেক সময়ের ব্যাপার।তিনি বলেন, বিভিন্ন অভিযানে জঙ্গিদের সাংগঠনিক সক্ষমতা অনেকটা ভেঙে গেছে। শ্রীলংকায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার পর তারা ইন্সপায়ার হয়েছে। তবে হামলার জন্য সাংগঠনিক কাঠামো, মনোবল ও সরঞ্জাম তাদের নেই।
শ্রীলংকা থেকে ঢাকায় ফেরা ১১ শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে মনিরুল বলেন, দেশে ফিরে আসা শ্রমিকরা সেখানকার ইব্রাহিম ইনসাফ আহমেদের কলসাস মেটাল নামে একটি পিতলের কারখানায় কাজ করতেন। হামলার ঘটনায় ওই ফ্যাক্টরির মালিক নিহত হয়েছেন।ওই ১১ জন মূলত টুরিস্ট ভিসায় সেখানে গিয়ে ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কাজ করছিলেন। অনেকের আবার ভিসার মেয়াদও ছিল না। শ্রীলংকার কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যাম্বাসির মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যে সন্ত্রাসী মারা গেছে তার সম্পর্কে এবং তার আত্মীয়দের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিছুই জানাতে পারেনি।তারা মালিককে দুই/চার বার দূর থেকে দেখেছে। তবে মালিকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করার কোনো সুযোগ হয়নি বলে তারা জানিয়েছেন।মনিরুল বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা জেনেছি এই হামলা ও ফ্যাক্টরির মালিকের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তবে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কোনো সংশ্লিষ্টতা না পেলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই।