বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে প্রাণ খুলে দোয়া করল বুলবুলি
গ্রুপের উদ্যোগ কুড়িগ্রামে ১২০০ শীতার্তের মাঝে শুভসংঘের কম্বল বিতরণ
স্টাফ রিপোর্টার /কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে ও কালের কণ্ঠ শুভসংঘের সহযোগিতায় কুড়িগ্রামের ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী এলাকা ও ছিটমহলে ২ হাজার শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ শুরু হয়েছে। রবিবার সকালে সদর উপজেলার ধরলা নদীর তীরে অবস্থিত সন্ন্যাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ৪০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।ধরলা নদীর চর সারডোর, ও নদী তীরবর্তী সন্ন্যাসী, ঢালাবান্ধাপাড়া, কাউয়াহাগাসহ ৫টি গ্রামের বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও অতি দরিদ্ররা সেই কম্বল পান।কম্বল পেয়ে ৭০ বছরের ছালেহা নামের এক বৃদ্ধা মহিলা বলেন, ব্যাপক শীত পড়ছে বাবা। অনেক খুশি হইছি,আল্লাহ তোমাক (তোমাদের) ভালো করুক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, জেলা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক ও কালেক্টরেট স্কুলের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ মিলন, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল মালেক ফারুক, সন্ন্যাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক শহিদুল ইসলাম, তাকবীর হোসাইন মান্না, শরীফ মাহ্দী আশরাফ জীবন, শাহ মো. হাসিবুর রহমান, রাশেদুল ইসলাম রাফিন প্রমুখ।রবিবার দুপুর ১২টায় রাজারহাট উপজেলার কালুয়ারচর কুদ্দুসিয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসা মাঠে ৪০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল পেয়ে ৫৮ বছরের বানেছা বেগম বলেন, হামার (আমার) বাড়ি বলতে কিচ্ছু (কিছু) নাই, হামরা (আমরা) পাতারোত (নদীর ধারে) থাকি (বাস করি), কোনো দিন একনা (একটা) কম্বল পাইনা। তোমরায় (তোমরা) দিলেন, আর কায়ো (কেউ) আসে নাই, মেলা দোয়া করনু (করলাম) বাহে (বাবা)। রবিবার বিকাল ৩টায় উলিপুর উপজেলার নাওড়া নাছিরীয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে ৪০০ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল পেয়ে ৫৫ বছরের বুলবুলি বেগম বলেন, ‘মোর (আমার) দুকনা (দুই) চ্যাংরা (ছেলে) আছে বাবা, এলাও (এখনো) কেউ কম্বল দেয় নাই, মেলা ঠাণ্ডা পরিছে (পরেছে) এবার। তোমরায় (তোমরা) এবার কম্বল দিলেন, তোমাগোর (তোমাদের) আল্লায় ভালো কইরবে (করবে), দোয়া করি বাহে (বাবা)।