বরিশাল খুলনায় জিতল নৌকা-রাজশাহী সিলেটে ভোট বর্জন চরমেনাই পীরের
স্টাফ রিপোর্টার : বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোটের ফলাফলে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ওদিকে কারচুপির অভিযোগ এনে বরিশালে ফল প্রত্যাখ্যান করে হাতপাখার প্রার্থীর দলীয় প্রধান রাজশাহী ও সিলেটে ভোটবর্জন করেছে।
বরিশালে নৌকা প্রতীক নিয়ে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। অন্যদিকে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে খুলনা সিটির মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন তালুকদার আবদুল খালেক।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নিকটতম প্রার্থীর চাইতে ৫৩ হাজার ৯৮০ ভোট বেশি পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
আর খুলনা সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক নিকটতম প্রার্থীর চাইতে ৯৪ হাজার ৭৬১ ভোট বেশি পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৬০ হাজার ৬৪ ভোট।
বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরশনে এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। দুই সিটিতেই সম্পূর্ণ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। বড় ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছেন। ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
বরিশালে ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সিটি করপোরেশনটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন।
খুলনায় ৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সিটি করপোরেশনটিতে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।
এদিকে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আসন্ন সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কট ঘোষণা করেছে দলটি।