বনানী ধর্ষণকান্ড ও ১৩ মণ স্বর্ণের ব্যাখ্যায় নার্ভাস সেলিম
বিশেষ প্রতিনিধি : বনানী ধর্ষণকান্ড ও ১৩ মণ স্বর্ণের ব্যাখ্যায় নার্ভাস হয়ে পড়েছেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেন সেলিম। আপন জুয়েলার্স থেকে জব্দ করা বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ ও হীরার বিষয়ে জবাব দিতে শুল্ক গোয়েন্দা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম।
আজ বেলা পৌনে ১২টার দিকে তিনি রাজধানীর রমনা থানা এলাকায় ওই সংস্থাটির সদর দফতরে হাজির হন। দুপুর সোয়া দুইটায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানে জবাবদিহি করছিলেন।
গত ১৪ ও ১৫ মে রাজধানীকে আপন জুয়েলার্সের ছয়টি বিক্রয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৩ মণ স্বর্ণ এবং ৬১ গ্রাম হীরা জব্দ করে শুল্প গোয়েন্দারা।
এর মধ্যে প্রথম দিনের অভিযানে চারটি বিক্রয়কেন্দ্রে জব্দ করা হয় ২৮৬ কেজি স্বর্ণালঙ্কার এবং ৬১ গ্রাম হীরা। আর দ্বিতীয় দিন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় ২১২ কেজি স্বর্ণালঙ্কার। সব মিলিয়ে জব্দ করা স্বর্ণের পরিমাণ ১২ মণ ৩৫ কেজি।
এসব স্বর্ণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গত ১৫ মে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমকে তলব করে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। তাকে আজ ১৭ মে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আপন জুয়েলার্স সম্প্রতি আলোচনায় এসেছে এর মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর। গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় করা একটি মামলায় দুই তরুণী অভিযোগ করেন, বনানীর রেইন ট্রি হোটেলে জন্মদিনের দাওয়াত দিয়ে তাদেরকে ধর্ষণ করেন সাফাত ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ।
এই মামলার আরও তিন আসামি হলেন সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহতম আলী। আসামিদের মধ্যে নাঈম আশরাফ ছাড়া সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আপন জুয়েলার্সের মালিক ছাড়াও আজ তলব করা হয়েছে রেইন ট্রি হোটেলের মালিকপক্ষকেও। শুল্ক গোয়েন্দার জানিয়েছেন, গত জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভ্যাট নিবন্ধন নিলেও কোনো অর্থ পরিশোধ না করে আট লাখ ১৫ হাজার টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে রেইন ট্রি কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া হোটেলটি থেকে ১০ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও তাদের মদ বিক্রির অনুমোদন নেই।