বনানী ধর্ষকদের বডিগার্ডরা রিমান্ডে
কোর্ট রিপোর্টার : বনানীতে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।মঙ্গলবার দুপুরে সিএমএম আদালতের হাকিম লস্কর সোহেল রানা এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসমত আরা অ্যানি ওই আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত বিল্লালকে চার দিন ও রহমত আলীকে তিন দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।সোমবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকার ‘ইব্রাহীম হোটেল’ থেকে বিল্লাল ও মহাখালী এলাকা থেকে রহমতকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৮ মার্চ রাতে রাজধানীর বনানীর ‘রেইনট্রি’ হোটেলে ‘আপন জুয়েলার্সের’ কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে মামলা করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। গত ৬ মে বনানী থানায় করা মামলায় আসামি করা হয় ৫ জনকে। সাফাত ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ এবং তার দেহরক্ষী ও গাড়িচালক।
গত বৃহস্পতিবার সিলেটের একটি বাসা থেকে গ্রেফতারের পর শুক্রবার সাফাত ও সাদমানকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সাদমান ‘পিকাসো রেস্তোরাঁর’ অন্যতম মালিক ও ‘রেগনাম গ্রুপের’ কর্ণধার মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে।
এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাত ও নাঈম দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। অন্য তিনজন ছিলেন সহায়তাকারী। সাফাতের বন্ধু নাঈম ও গাড়িচালক বিল্লাল করেছিলেন ঘটনার ভিডিও।এই ধর্ষণ মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে নাঈম আশরাফ বা হাসান মোহাম্মদ হালিম এখনও পলাতক।