বনানীতে গ্যাস লিকেজ-বিস্ফোরণ আগুন-কে বিচার করবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের-
স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে গ্যাসলাইন মেরামত হল ভবন পুরে শেষ হবার পর।এখন কে বিচার করবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের-এ দাবি ফ্ল্যাট মালিকদের।এর আগে মধ্যরাতে বনানীতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে কয়েকটি ফ্লোর। পূর্বে অভিযোগ করা হলেও বিষয়টি নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেয়নি তিতাস। সে কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে ভবনের মালিক শামসুল আলমের দাবি। তিতাসের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
তার কথার সমর্থনেই ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, ‘এখানে গ্যাসের লাইনে সমস্যার কথা জানিয়ে আমার এক ঠিকাদার গত পরশু তিতাসে লিখিত (অভিযোগ) দিয়েছে।’ কিন্তু তারপরও তিতাসের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে যে ছিদ্র থেকে গ্যাস বেরিয়ে এই বিস্ফোরণ বলে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার পর শুক্রবার তা বন্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ২টার দিকে বনানী ২৩ নম্বর সড়কের ছয় তলা ওই ভবনে আগুন লেগে তৃতীয়তলা থেকে ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত তা ছড়িয়ে পড়ে বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান। আগুন লাগার পর তৃতীয়তলা থেকে উপরের সব ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা আতঙ্কে ছাদে উঠে যান এবং সেখানে আটকা পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাদের নামিয়ে আনেন।
এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে বাড়িওয়ালার ছেলে নাভেদ ইমতিয়াজ দগ্ধ হয়েছেন, বাকিরা তাড়াহুড়ায় নামতে গিয়ে আহত হন বলে বনানী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নাজমুল হোসেন জানান।বিস্ফোরণে ভবনের দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার সামনের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। ফাটল দেখা দিয়েছে ‘ফলস পিলারে’। ভাঙা দেওয়াল আর পোড়া ব্যালকনি কোনো ভবনে বড় ধরনের বিস্ফোরণ পরবর্তী চিত্রের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। ভবনটিতে বিকালেও বাসিন্দাদের বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়নি। দুপুরে প্রতিটি ফ্ল্যাটের একজন করে বাসায় ঢুকতে দেওয়া হয় মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে আসার জন্য।