বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়বে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ
শফিক রহমান : বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়তে বিপ্লব ঘটাবে স্ট্যান্ডার্ড গ্লোবাল ইকোনমিক জোন। প্রায় ২০টির মতো শিল্প কারখান গড়ে উঠবে এই জোনে।এ লক্ষ্যেই বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড গ্লোবাল ইকোনমিক জোন এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
জানা গেছে, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে গার্মেন্ট, নিট কম্পোজিট, ডেনিম, লৌহজাত ভারী শিল্প, পাট শিল্প, খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প, আইসিটি, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, ওয়াশিং প্লান্ট, টেক্সটাইল, প্যাকেজিং অ্যান্ড কার্টন, এলপিজি, সিরামিক, কৃষিভিত্তিক বহুমুখী শিল্প, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকসহ বিভিন্ন শিল্প স্থাপন করা হবে। এতে কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক মানুষের।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন এলাকায় বালুয়া নদীর তীরে বড় বালুয়াকান্দি মৌজায় প্রায় ১০৮ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড গ্লোবাল ইকোনমিক জোন। উন্নয়ন, অবকাঠামো নির্মাণ ও শিল্প স্থাপনে ৭৬ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এখানে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে সংশ্লিষ্ঠরা জাতিরকন্ঠ কে জানিয়েছেন।
এর আগে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ লিমিটেডের মালিকানাধীন স্ট্যান্ডার্ড গ্লোবাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডকে প্রাক-যোগ্যতাপত্র প্রদান করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।এর আগে বেজা কার্যালয়ে প্রাক-যোগ্যতাপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে সংস্থাটির নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ড গ্লোবাল ইকোনমিক জোন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আতিকুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলটির কর্মকাণ্ড দ্রুত শুরু করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, পোশাক ও নির্মাণ শিল্পের প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে গার্মেন্ট, নিট কম্পোজিট, ডেনিম, লৌহজাত ভারী শিল্প, পাট শিল্প, খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াজাত শিল্প, আইসিটি, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, ওয়াশিং প্লান্ট, টেক্সটাইল, প্যাকেজিং অ্যান্ড কার্টন, এলপিজি, সিরামিক, কৃষিভিত্তিক বহুমুখী শিল্প, অটোমোবাইল, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকসহ বিভিন্ন শিল্প স্থাপন করবে।
লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, দেশী-বিদেশী উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের বিষয়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত মোট ১৯টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রাক-যোগ্যতাপত্র প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত লাইসেন্সও দেয়া হয়েছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে এরই মধ্যে ১৭টি শিল্প স্থাপন হয়েছে। কাজ চলমান আরো ১৭টি শিল্প স্থাপনের।
পবন চৌধুরী বলেন, দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়নের জন্য ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বেজার আওতায় একটি ভূমি ব্যাংক স্থাপন করা হয়েছে, যেখান থেকে বিনিয়োগকারীরা সহজে তাদের পছন্দ অনুযায়ী ই-জেড স্থাপনের জন্য জমি নিতে পারছেন।সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য হারুনুর রশিদ ও মো. আইয়ুবসহ দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।