ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দেয়ায় লেখিকা সেলিনা বরখাস্ত
চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিনিধি : ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দেয়া নিয়ে চট্টগ্রামের লেখিকা ও শিক্ষাবিদ সেলিনা শেলীর বিরুদ্ধে হুমকি ও বন্দরের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন লেখক-সাহিত্যিক ও সচেতন মানুষ। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, আইনের কাছে তারা বন্দি। তবে প্রতিবাদি মানুষের দাবি, সেলিনা শেলীর চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। না হলে আন্দোলন চলবে। এ সম্পর্কে বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তাদের এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বাবা ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা। সেই সূত্রে বন্দরের শিক্ষায়তনে পড়ালেখা করে দীর্ঘদিন বন্দর মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করছেন কবি-সাহিত্যিক সেলিনা শেলী। চট্টগ্রামে প্রগতির পক্ষে নানা আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন তিনি।
সম্প্রতি এক ফেসবুকে স্টাটাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে বিতর্কের সময় বাঙালির চির পরিচিত ‘রমজান’কে ‘রামাদান’ বলার সমালোচনা করেন। এতেই তার ওপর ক্ষিপ্ত হয় মৌলবাদী গোষ্ঠী।
এর ওপরই ভিত্তি করে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত আদেশ ও বিভাগীয় মামলা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সেলিনা শেলী বলেন, ৩৯ বছর চাকরি করে শেষপ্রান্তে এসে আমি অত্যন্ত অপমানিত হয়েছি। আমার আত্মসম্মানটুকু ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।
এ ঘটনায় প্রতিবাদ করে সেলিনা শেলীর বন্ধু ও স্বজনেরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সরব থাকায় তিনি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ একজন বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী সবসময় ওত পেতে থাকেন যে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, মুক্ত চর্চার মানুষদেরকে কীভাবে সুযোগে নাজেহাল করবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে অনেকটাই অবাক লেখক আল খোরশেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যে তিনি এত পরিশ্রম করেছেন, ছাত্র ছাত্রীদের পড়িয়েছেন, প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করেছেন সেগুলো কী মিথ্যা হয়ে যাবে? এটা কল্পনাতীত। লেখক, কবি ও শিক্ষাবিদ সেলিনা শেলীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে চট্টগ্রামের সংস্কৃতি জনেরা জানান, তারা দ্রুত এই ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবে।