• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ফের লুটপাট এলিটফোর্সের:এবার ৪কোটি


প্রকাশিত: ১০:১৭ পিএম, ২৫ আগস্ট ১৮ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৪ বার

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি :  ফের লুটপাট করেছে এলিটফোর্স! এবার হাতিয়ে নিয়েছিলো ৪কোটি টাকা। নিরাপদে টাকা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিষ্ঠানই লুট করেছে ৪ কোটি টাকা। রাজধানী উত্তরা থেকে একটি টেক্সটাইল কারখানার ৪ কোটি টাকা লুট করেছে বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা ‘এলিট ফোর্স’-এর কর্মীরা। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সহকর্মীদের অচেতন করে টাকা লুট করেন গাড়িচালক।

এরপর গাড়ি বদলে টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তিনি ও তার সহযোগীরা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘটলেও এতদিন তা জানাজানি হয়নি। এর মধ্যে পুলিশ-র্যাব টাকা লুটে জড়িত আটজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে আড়াই কোটিরও বেশি টাকা।

ভাটারা থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান জাতিরকন্ঠকে বলেন, টাকা লুটের ঘটনায় মামলা হওয়ার পরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। জড়িতদের বেশিরভাগকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিরাও শিগগিরই ধরা পড়বে।তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, মানি এসকর্ট সার্ভিস বা নগদ অর্থ পরিবহনে নিরাপত্তা দিয়ে থাকে এলিট ফোর্স।

গত ৭ আগস্ট তারা উত্তরা থেকে একটি গাড়িতে করে টাকা নিয়ে রওনা হয়। এর কিছু সময় পরই দেখা যায়, তাদের তিনজনের দলে চালক ছাড়া অপর দুজনই অচেতন হয়ে পড়েছেন। এরপর চালক সাইফুল গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে যান বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। সেখানে গাড়ি বদলে টাকাগুলো নিয়ে আরেকটি গাড়িতে ওঠেন তিনি ও তার সহযোগীরা।

দ্বিতীয় গাড়ির চালক জহিরুল তাদের নিয়ে যান মাওয়া ঘাটে। সেখান থেকে নদী পেরিয়ে লুটেরা দলটি চলে যায় গোপালগঞ্জে। পরে টাকা ভাগ করে বিভিন্ন জনের কাছে রাখতে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন স্থান থেকে সাইফুল, নাহিদ, জহিরুল ও রাসেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুই কোটি ৫৪ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে র্যাব চার নারীর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা উদ্ধার করেছে। লুটের টাকা রাখার অপরাধে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।

ভাটারা থানার ওসি আরো বলেন, টাকা লুটের ঘটনায় গাড়ি চালক ছাড়া অন্য জড়িতরা আগে এ ধরনের অপরাধে জড়িত ছিল কিনা-তা তদন্ত করা হচ্ছে।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি। টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।