ফের বেহাল টাইগাররা দ.আফ্রিকায়
স্পোর্টস রিপোর্টার : দ. আফ্রিকায় ফের বেহাল টাইগাররা ।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে মুশফিকবাহিনী। দলীয় ১৩ রানেই উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়। ২৬ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। দলীয় ৩৬ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয়। ৪৯ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হয়।
চা বিরতি আগ পর্যন্ত ১৭ ওভারে চার উইকেটে ৬১ রান করেছে মুশফিকবাহিনী। ক্রিজে রয়েছেন ইমরুল কায়েস (২৬) ও লিটন দাশ (১০)।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তামিমের বদলে দলে সুযোগ পাওয়া সৌম্য সরকার।তিনি ব্যক্তিগত ৯ রান করে রাবাদার বল ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হন।
দশম ওভারে দলীয় ২৬ রানে বিদায় নেন দলের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক।১২তম ওভারে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আউট হয়ে দলকে চরম বিপদে ফেলে দেন। ইনিংসের ১৫তম ওভারে দলীয় ৪৯ রানের মাথায় ফিরে যান দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে আমলা-ডুপ্লেসিসের দুরন্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বাংলাদেশের বিপক্ষে চার উইকেটে ৫৭৩ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।ব্লুমফন্টেইন টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও টাইগার বোলারদের একেবারে হেসেখেলে পাড়ার ক্রিকেট দল বানিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংস ঘোষণার অাগে নবাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে সাজঘরে ফিরে যান দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও তিনি সেঞ্চুরি করে রানের পাহাড় গড়তে প্রোটিয়া ইনিংসে বিশেষ অবদান রেখেছেন। ১৩২ রান করে তিনি শুভাশীষের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ১৬৩ বলে করা তার ইনিংসটি ছিল ১৭টি বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ২৮তম সেঞ্চুরি।
আমলা চলে যাওয়ার পর ক্রিজে নামে ডি কক। এসেই তিনি উইকেটে ঝড় তোলেন। তাইজুলের এক ওভারে নেন ২১ রান। সর্বশেষ তিনি ২৭ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। তার এ ছোট্ট ইনিংসে দুটি চার ও দুটি ছক্কার মার রয়েছে। অপর সেঞ্চুরিয়ান ব্যাটসম্যান ডু প্লেসিস অপরাজিত থাকেন ১৩৫ রানে।এর আগে উদ্বোধনী জুটিতে ২৪৩ রান তোলেন ডিন এলগার আর এইডেন মার্করাম। বাংলাদেশের বোলারদের শক্ত হাতেই শাসন করে যাচ্ছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা।
এদিকে দ্বিতীয় দিন সকাল থেকে ব্লুমফন্টেইনের আকাশে হানা দেয় বৃষ্টি। ফলে খেলা শুরু হতে বেশ বিলম্ব হয়। খেলা শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায়। এর আগে এলগারকে ১১৩ রানে আউট করেন শুভাশীষ রায়।এরপর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে মার্করামকে বোল্ড করেন রুবেল হোসেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা এই ব্যাটসম্যান আউট হন ১৪৩ রান করে। আর টেম্বা বাভুমাকে ৭ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান শুভাশীষ।