• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ফের টয়লেটের রাস্তায় সোনার বার পাচারকারী পাকরাও


প্রকাশিত: ১০:১১ পিএম, ১৭ অক্টোবর ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৪ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : অনেক দিন ফের টয়লেটের রাস্তায় সোনার বার পাচারকারী পাকরাও হয়েছে শাহজালালে। পাচারকারী 11মোরশেদ হোসেন (৩০) সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমিকের কাজ করে। সংঘবদ্ধ চক্রের ইশারায় মোরশেদ কৌশলে নিজের টয়লেটের রাস্তায় প্রায় এক কেজি সোনা নিয়ে আজ সোমবার সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামলে শুল্ক গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোরশেদ জানিয়েছেন, সোনা পাচারের এটাই ছিল তাঁর প্রথম চেষ্টা। সফল হলে 88সোনার বড় ধরনের চালান আনার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, মোরশেদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য প্রায় ৫২ লাখ টাকা। এয়ার অ্যারাবিয়ার একটি ফ্লাইটে করে আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকায় আসেন মোরশেদ।

গোপন সংবাদ পেয়ে বিমানবন্দরে তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়। গ্রিন চ্যানেলে প্রথমে চ্যালেঞ্জ করা হলে মোরশেদ তাঁর কাছে সোনা থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু তাঁর চলাফেরায় অস্বাভাবিকতা লক্ষ করে শুল্ক গোয়েন্দাদের সন্দেহ বেড়ে যায়। একপর্যায়ে অস্ত্রোপচারের কথা বলা হলে মোরশেদ তাঁর পায়ুপথে সোনার বার থাকার কথা স্বীকার করেন।

মইনুল খান বলেন, চারটি বিশেষ প্যাকেটের মধ্যে দুটি করে আটটি সোনার বার পায়ুপথে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন মোরশেদ। একপর্যায়ে জুস ও পানি পান করে টয়লেটে গিয়ে সোনার বারগুলো বের করে দেন তিনি। প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম। এ ছাড়া তাঁর ব্যাগ থেকে সাতটি সোনার চুড়ি উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার পরিমাণ ১ কেজি ৩৭ গ্রাম।

মইনুল খান আরও বলেন, মোরশেদ তাঁর পায়ুপথে বিশেষ ধরনের চারটি বেলুনের মধ্যে সোনার বারগুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে মোরশেদ জানিয়েছেন, শারজাহ থেকে উড্ডয়নের পর উড়োজাহাজে তিনি সোনার বারগুলো শরীরে লুকিয়ে রাখার কাজ করেন। প্রথম দিকে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য বাংলাদেশ আনতেন তিনি।

শারজাহতে বসবাসকারী ইমরান হোসেন নামের চট্টগ্রামের এক যুবকের মাধ্যমে সোনা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েন মোরশেদ। এ জন্য শারজাহতে তিনি বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন। চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে সোনা বিক্রি করে লাভের অর্থ ইমরানের সঙ্গে ভাগাভাগি নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। এটা ছিল তাঁর প্রথম চেষ্টা। এবার সফল হলে পরে আরও বড় ধরনের চালান আনার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।মইনুল খান জানান, মোরশেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।