ফের আফ্রিদির জাদু দেখলো বিশ্ব!
আর এইচ মানব : ফের আফ্রিদির জাদু দেখলো বিশ্ব ! পিএসএলে আফ্রিদির এক দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ সব বদলে দিলো। আফ্রিদি প্রমাণ করলেন তিনিই এখনো পারেন এবং আরো কিছু দিন পারবেন।পাকিস্তানের এক-সময়কার হার্ডহিটিং ব্যাটসম্যান। অনেকের মতে, ৩৮ ছুঁইছুঁই বয়স তার বয়স। জাতীয় দল ছেড়েছেন অনেক আগেই। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে এখনও ২০ বছরের তরুণ শহীদ আফ্রিদি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও বৈশ্বিক টি-টুয়েন্টি লিগগুলো ঠিকই খেলে যাচ্ছেন এবং প্রায়ই তার ব্যাটে ওঠে আগের মত ঝড়।
এবার ফিল্ডিংয়েও দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে প্রমাণ করলেন বয়সটা শুধুই একটি সংখ্যা। শুক্রবার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) বর্ষীয়ান এই অলরাউন্ডার যেভাবে একটি ক্যাচ ধরলেন, তা দেখে চোখ কপালে উঠেছে সবার।পিএসএল ইতিহাসে গ্লাডিয়েটর্স কখনই কিংসের কাছে হারেনি। দুবাইয়ে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স আর করাচি কিংসের ম্যাচের ঘটনা।
ব্যাটিং করছিল কোয়েটা। ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই উইকেট হারানো শুরু করে গ্লাডিয়েটর্স। তিন নম্বরে নেমে উইকেটের একপ্রান্ত ধরে রেখেছিলেন পাকিস্তানি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান উমর আমিন। ইনিংসের ১৩তম ওভারে উমর আমিনকে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে ফিরিয়ে দিয়েছেন আফ্রিদি, যেটি উপস্থিত দর্শকদেরও বিশ্বাস হচ্ছিল না।
মোহাম্মদ ইরফানের লেন্থ ডেলিভারিটি লং অনের উপর দিয়ে উঠিয়ে মেরেছিলেন উমর আমিন। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানও নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন বলটি ছক্কা হয়ে যাবে। তার ৩৬ বলে তৎকালীন দ্রুততম ওয়ানডে সেঞ্চুরি যেমন অবিশ্বাস্য ছিল তেমন এক অবিশ্বাস্য চেষ্টায় লাফিয়ে বাউন্ডারি লাইনে একহাতে ক্যাচটি ধরে ফেলেন তিনি। কিন্তু যখন দেখলেন বাউন্ডারি লাইনের ভেতরে চলে যাচ্ছেন তখন বুদ্ধি করে বলটি ভাসিয়ে দিলেন বাতাসে। বাউন্ডারির ভেতর থেকে ফিরে বলটি আবার তালুবন্দি করেন আফ্রিদি। অবিশ্বাস্য এই ক্যাচে ৩১ রানেই থেমে যায় উমরের ইনিংস। পরে গ্লাডিয়েটর্স ম্যাচটিও হারে ১৯ রানে।
এই ক্যাচ নেয়ার পর থেকেই প্রশংসায় ভেসে যাচ্ছেন আফ্রিদি। ক্যাচ ধরার পরপরই ধারাভাষ্যকার বলেছিলেন, ‘বয়স প্রায় ৩৮। অনেকে বলে ৪৫। এই ক্যাচটি দেখার পর আমি বলব তার বয়স ৩২।’বুড়ো হাড়ের এমন ভেল্কি দেখানোর পর আফ্রিদি নিশ্চিন্তে আরও কয়েকবছর খেলে যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন! ম্যাচে তার দল করাচি জিতেছে, তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে দিন শেষে আলোচনায় বর্ষীয়ান এই অলরাউন্ডারের ক্যাচটিই।