‘ফখরুলের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল’
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশকে স্বাধীন করার ডাক দিয়েছেন। এটা কি রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল নয়? এজন্য তার বিচার করলে কি ভুল হবে?শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশকে আবার তারা স্বাধীন করবে, কোন স্বাধীনতা? পাকিস্তানে ইমরান খান সাহেব এসেছেন তাই মহাখুশি। অচিরেই টের পাবেন, কত ধানে কত চাল!বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে আবার ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টির সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। আমরা খোঁজখবর রাখছি। কোথায় কোথায় বৈঠক হয়েছে, কারা কোথায় আসা-যাওয়া করছেন। গ
ত সাত দিনে কারা কারা ব্যাংকক যাচ্ছেন, আসছেন- আমরা সব জানি। ব্যাংককে এখন ঘাঁটি বানানো হয়েছে। তবে তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হবে না। দেশে আর ওয়ান-ইলেভেন আসবে না। কারা কারা ষড়যন্ত্রে বাতাস দিচ্ছেন জানি, বাতাস দেওয়া বন্ধ করুন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
‘দেশে গণতন্ত্র নেই’- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, অফিসে বসে প্রধানমন্ত্রীকে অশ্রাব্য গালাগাল করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, গ্রেফতার হচ্ছেন না! দেশে গণতন্ত্র না থাকলে কি প্রধানমন্ত্রীকে গালি দিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারতেন? জেলে যাচ্ছেন না বলে এত বড় বড় কথা বলতে পারছেন। শেখ হাসিনা যেটা বলেছেন, সেটাকে কেউ অসত্য প্রমাণ করতে পারেননি। যা সত্য তাই প্রধানমন্ত্রী অকপটে বলেন। আর এতে বিএনপির গায়ে কাঁটা লেগেছে বলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আমিনুল ইসলাম আমিন, শাহে আলম মুরাদ, সাদেক খান, শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।