প্রয়োজন ছাড়াই ভর্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু-শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা
বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: কোন প্রয়োজন ছাড়াই ভর্তির ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় ফেলার দায়ে সচিব ও শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।বিতীয় দফা ফলাফল ঘোষণার পরও লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এখনো দেশের কোন কলেজেই ভর্তির সুযোগ পায়নি।
তবে কোন কলেজেই ভর্তি হতে না পারা শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম বলে দাবি শিক্ষাসচিবের। তৃতীয় দফা ফলাফল ঘোষণার পর সব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস শিক্ষাবিভাগের।
সামনে ঈদ। খুশির আগমনী বার্তা তাই চারদিকে। তবে সেই আনন্দ প্রাণ ছোঁয়নি রাব্বির। জিপিএ ৫ পেয়েও এখন পর্যন্ত কোন কলেজ ভাগ্যে না জোটায় সব আনন্দই নিরস এই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর।
রাব্বি বলেন, ‘জিপিএ ৫ পেয়ে এখন পর্যন্ত কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ পাইনি। এটা স্বপ্নেও ভাবতে পারছি না।আদৌ কি কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারবো সেটা নিয়ে এখনো আমি অনিশ্চিত।’
দুই দফা ফলাফল ঘোষণার পরও দেশের বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষাবোর্ডের আঙিনায় আনাগোনা কমেনি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। ভর্তি প্রক্রিয়ায় নতুন পদ্ধতি এতটা বিপাকে ফেলবে ভাবেনি কেউই।
অন্য আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে কিন্তু প্রথম পর্যায়ে আমার নাম আসেনি। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়েও আমার নাম আসেনি। পরে আমার নাম আসবে কি আসনে না সেটাও বুঝতে পারছি না।’
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘এসএসসি’র ফল নিয়ে যতটানা চিন্তায় ছিলাম এখন কলেজে ভর্তি নিয়ে তারচেয়ে বেশি চিন্তা করতে হচ্ছে।’
অনলাইন পদ্ধতি চালু করে নতুন জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষাসচিব দুইজনের দায়িত্ব নিয় পদত্যাগ করা উচিত। এর থেকে আমরা ইতিহাসে ভালো শিক্ষা পেলাম না। আমি প্রযুক্ত বাদ দিয়ে সনাতন পদ্ধতিতে যাওয়ার পক্ষে।’
তবে এখন পর্যন্ত ফলাফলে কোন কলেজ না পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম বলে দাবি শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খানের। তৃতীয় দফা ফলাফল ঘোষণার পর প্রায় শতভাগ সমস্যা সমাধান হবে বলে আশ্বাস শিক্ষাসচিবের।