প্রেসিডেন্টের আহ্বানে অফিসের সবাই ‘নগ্ন’
কিন্তু ক’দিন পরই দেখা গেল, দেশটিতে খালি গায়ে অফিসে কাজ করার ছবি তুলে লোকজন অনলাইনে প্রকাশ করছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রমশ বাড়ছে এ রকম ছবির সংখ্যা। সেখানে হ্যাশ ট্যাগ করে লেখা গেট নেকেড অ্যান্ড ওয়ার্ক।অনেকে আবার প্রেসিডেন্টকে বাবা সম্মোধন করে ছবির সঙ্গে লিখে পাঠাচ্ছে, ‘বাবা যা বলেছেন, তাই করলাম।’
প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর ওই আহ্বানের যৌক্তিকতাও রয়েছে। কারণ বেলারুশ গত কয়েক দশকের মধ্যে এখন সবচেয়ে নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।আর এ থেকে উত্তরণে তিনি জনগণকে ‘কোমর বেঁধে’ কাজে নামার আহ্বান জানান। কিন্তু তার অর্থ যদি কেউ ‘অনাবৃত হওয়া’ বোঝেন, তাহলে বিপত্তি তো বাধবেই।
বেলারুশীয়দের একটি অংশ কেবল নিজেদের খালি গায়ের ছবি প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হয়নি, প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্য নিয়ে গানও বেঁধেছে।এ নিয়ে টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে নানা রকমের ছবি, মন্তব্য ও অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে বেলারুশের বাইরেও।
রাশিয়া, ইউক্রেন ও বাল্টিক দেশগুলোর অনেকেও এই অদ্ভুত প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।সম্ভবত পূর্ব ইউরোপের সাম্প্রতিক গরম আবহাওয়ার কারণেই লোকজন এ রকম কাপড়চোপড় ছাড়ার কার্যক্রমে অংশ নিতে উৎসাহিত হচ্ছে।
ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্টই বলেছেন, পোশাক অপ্রয়োজনীয়।’
প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো নিশ্চয়ই আশা করেননি, জনগণ তার পরামর্শ ‘এতটা নিষ্ঠার সঙ্গে’ গ্রহণ করবে। কার্যত তিনি সবাইকে ‘আত্মোন্নয়নের’ আহ্বান জানিয়েছেন।