প্রেম প্রত্যাখানের জবাব চাপাতি’তে এমন বর্বর নেতা ছাত্রলীগের কলংক
সিলেট প্রতিনিধি : প্রেম প্রত্যাখানের জবাব চাপাতি’তে কেন? তাছাড়া এমন বর্বর নেতা ছাত্রলীগে কেন? এই কলংক এখনই ঝেটিয়ে তাড়িয়ে মুক্ত হোক ছাত্রলীগ! তানাহলে শেখ হাসিনার যত অর্জন তা ম্লান হতে সময় লাগবে না-কথাগুলো সিলেটের ভুক্তভোগী ছাত্রছাত্রীদের।এদিকে সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার হামলার শিকার ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার বিকেলে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের ওপর হামলা চালান শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। হামলার পর আহত ছাত্রীকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন কর্মীকে আজ মঙ্গলবার স্কয়ার হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক জানান, ছাত্রীটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। দেড়-দুই ঘণ্টা পর ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, আহত ছাত্রীর সারা শরীরে কোপের দাগ। মাথার আঘাত গুরুতর। দ্বিতীয় দফা অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁকে ওই কক্ষে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বিকেলে খাদিজা সিলেট এমসি কলেজের পরীক্ষা হল থেকে বের হওয়ার পথে চাপাতি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে আহত করেন বদরুল। প্রথমে খাদিজাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক দফা অস্ত্রোপচার শেষে গতকাল রাতে তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারির জ্যেষ্ঠ পরামর্শক রেজাউস সাত্তারের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন।
এদিকে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন কর্মীকে স্কয়ার হাসপাতালে ঢুকতে দেখা গেছে।জানা গেছে, খাদিজাকে কোপানোর পর তাঁর সহপাঠীসহ স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে দেন। বদরুল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সহসম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।এদিকে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল মুন্সি জানান, হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেছেন আটক বদরুল। খাদিজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়েন থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি হামলা করেছেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।