প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে পুতুলের বিরল অর্জন-দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ‘অটিজম চ্যাম্পিয়ন’
এস রহমান : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরল অর্জনে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় সাজ সাজ রব পড়ে গেছে।এবার
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ‘অটিজম চ্যাম্পিয়ন’ হয়েছেন পুতুল। বলা হয়েছে- বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিজম আক্রান্ত) শিশুদের জন্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)। বিশ্ব অটিজম দিবসকে সামনে রেখে ১ এপ্রিল শনিবার সকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লি কার্যালয় থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতি থেকে এসব কথা জানা যায়।
সংস্থাটির ওয়েবসাইটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (অটিস্টিক) শিশুদের প্রতি প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন, জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো, শিশুদের দুর্ভোগের জায়গাগুলো শনাক্ত এবং সমাধান করা এবং ওই শিশুদের বাবা-মা ও অন্যান্য লালনপালনকারীদের নিয়ে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল বিশ্ব অটিজম দিবসকে সামনে রেখে দেয়া এক বিবৃতিতে অটিজম আক্রান্ত শিশুদের জন্য সাময়ার অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সায়মার নজীরবিহীন উদ্যোগ ও ত্যাগের ফলে শিশুদের মধ্যে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজওর্ডার, মানসিক ও অন্যান্য নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারসহ বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি সিয়ারোভুক্ত বিভিন্ন দেশ তথা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষিত হয়।’
বিবৃতিতে জানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতিপ্রাপ্ত একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এখন থেকে সংস্থার সদস্যদেশগুলোতে এএসডি (অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার) সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন দেশের সরকারের এএসডি সংক্রান্ত জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন এবং এই খাতের গবেষণায় অবদান রাখবেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বে প্রতি ৬২ জন শিশুর মধ্যে একজন অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত। এ ধরনের এক একজন শিশুর পেছনে সারাজীবনে ১.৪ মিলিয়ন থেকে ২.৪ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে এ সমস্যায় আক্রান্ত শিশুরা সুচিকিৎসা ও যথোপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পায় না।
তারা সামাজিকভাবে নানা অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হয়। এ সমস্যায় আক্রান্তদের সুচিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এখন অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ড. পুনম ক্ষেত্রপাল বলেন, ‘সিয়ারোভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ অটিজম নিয়ে সর্বাগ্রে কাজ শুরু করে। এক্ষেত্রে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন অগ্রপথিক হিসেবে বিষয়টিকে সিয়ারোভুক্ত দেশের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর নজরে এনেছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, সায়মার উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্যখাতে খাতভিত্তিক কর্মসূচিতে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত ডিজঅর্ডারকে অন্তর্ভুক্ত করে। নিউরো ডেভেলপমেন্ট ও অটিজম নামে একটি ইনস্টিটিউট স্থাপনের পাশাপাশি দশটি সরকারি মেডিকেল কলেজে শিশুদের এ ধরনের সমস্যা চিহ্নিত করতে বিশেষ ইউনিট চালু করে।