• সোমবার , ১৮ নভেম্বর ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর ধৈর্য ধারণের পরামর্শ অগ্রাহ্য-হানিফ টোল প্লাজায় আগুন


প্রকাশিত: ১:৪৬ এএম, ১৮ জুলাই ২৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

বিশেষ প্রতিনিধি/যাত্রাবাড়ি প্রতিনিধি : সব পক্ষকে ধৈর্যধারণ করার আহবান জানিয়ে বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের পর আরো অধৈর্য অবস্থায় নেমেছে কোটা আন্দোলনকারীরা। চারদিকে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় অবস্থান নিলেও ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজধানীসহ সারাদেশ।

রাজধানীর শনিরআখড়া এলাকায় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে আন্দোলন যেন বেগবান হতে থাকে।এর আগে রাজধানীর শনির আখড়ায় বুধবার ১৩ ঘণ্টা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

তবে রাতে শনির আখড়া রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সেখানে টায়ার ও কাঠ জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্থানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায়ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দখলে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। সকাল ১০টা থেকে সর্বশেষ রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত সড়ক তাঁদের দখলে রয়েছে। শনির আখড়া থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত শত শত আন্দোলনকারী অবস্থান নিয়েছেন। শনির আখড়ার রাস্তায় এখনো আগুন জ্বলছে। এমনি অবস্থায় বৃহস্পতিবার ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা সারাদেশে সাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেছেন, সকাল ১০টা থেকে শনির আখড়ায় দনিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। তবে সন্ধ্যার সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলতে থাকে। রাত ১২টা অবধি অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। শনিরআখড়া এলাকার প্রধান সড়কের জায়গায় জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।

স্থানীয় আজাহার আলী দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, কিছুক্ষণ পরপরই পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল করিম দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, সকাল থেকেই সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছেন। মহাসড়কে শনির আখড়া অংশে কাঠ জ্বালিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর্যন্ত শনির আখড়া থেকে রায়েরবাজার পর্যন্ত দুই পাশের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।

শনির আখড়ার রসুলপুরের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জাহাঙ্গীর দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, সংঘর্ষে সন্ধ্যা থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা অলিগলিতে ছড়িয়ে যাচ্ছে। শনির আখড়া থেকে কাজলা পর্যন্ত পাঁচটি স্থানে আগুন জ্বলছে। রাত ১২টার পরেও শনির আখড়া এলাকার সড়কে অবস্থান নিয়ে আছেন আন্দোলনকারীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (র‌্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) সদস্যরা যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অবস্থান করছেন। আন্দোলনকারীরা কাজলা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত অবস্থান করছেন।

এদিকে সন্ধ্যায় সেখানে সংঘর্ষের সময় পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুই বছরের এক শিশুও রয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ইরান, সোহাগ, বাবু মিয়া ও তাঁর শিশুপুত্র রোহিত মিয়া এবং স্কুলছাত্র মাহিম আহমেদ। আহত ব্যবসায়ী বাবু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, তিনি দনিয়া এলাকায় শিশুসন্তান রোহিতকে নিয়ে বাসার ফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন পুলিশের ছোড়া ছররা গুলি তাঁর ও ছেলের গায়ে লাগে।