• বুধবার , ৮ মে ২০২৪

প্যারিসের বাংলাদেশীরা সন্দেহ আর অবিশ্বাসের শিকার হচ্ছেন


প্রকাশিত: ২:১১ পিএম, ১৫ নভেম্বর ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৬ বার

fffffffবিবিসি অবলম্বনে নিপা খন্দকার:   প্যারিসে ব্যাপক হামলার পরের দিনটি আতঙ্কে কাটিয়েছেন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশীরা।অনেকেই ঘর থেকে বের হননি।যারা বের হয়েছেন, তাদের মনে হচ্ছে সবাই যেন তাদেরকে সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখছে।নিজেরাও ভুগছেন সন্দেহ আর অবিশ্বাসের দোলাচলে।প্যারিসের একটি দোকানে কাজ করেন জাহিদুল ইসলাম।তিনি শুক্রবার গভীর রাতের হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শীও বটে।

তার সঙ্গে কথা বলার জন্য বিবিসি বাংলার ঢাকা অফিস থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন।তিনি বলেন, ‘আপনাদের কোনও নম্বর আমার ফোনে ওঠেনি। আমাকে আগে নিশ্চিত হতে হবে আপনারা সত্যিই বিবিসি কিনা’।পরে তার কাছে থাকা বিবিসির ফোন নাম্বারে তিনি ডায়াল করেন এবং একটি সাক্ষাৎকার দেন।

বিবিসিকে মি. ইসলাম বলছিলেন, তিনি ঘটনার পরদিন কাজে বেরিয়েছেন।দোকানে যদিও দিনে বারো ঘণ্টা কাজ করেন, কিন্তু শনিবার কাজ করেছেন মোটে চার ঘণ্টা।ক্রেতা একেবারেই ছিল না বললেই চলে। সব দোকানপাটেরই একই অবস্থা। বেশীরভাগ দোকানপাটই ছিল বন্ধ।

রাস্তায় মানুষজন যা বেরিয়েছে, তাদের মধ্যে ফরাসী ছিল খুব কমই।পরস্পর পরস্পরের দিকে তাকাচ্ছিল প্রচন্ড সন্দেহ নিয়ে।
‘ক্ষোভ বা বিদ্বেষ নয়, সন্দেহ প্রবণতা কাজ করছে। কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না’। বলছিলেন মি. ইসলাম।
এমনকি ফরাসী কেতা অনুযায়ী কিছু মানুষ ফুল দিয়ে ও মোমবাতি জ্বেলে আহত-নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেও তাদের সংখ্যা ছিল খুবই কম।হাজার হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকলেও মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ এখনো ফিরে আসেনি বলে মনে হচ্ছে।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, এখানে বিদেশীদের বিশেষ করে যারা শ্বেতাঙ্গ নন তাদেরকে খুবই সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে এবং এটাকে অত্যন্ত স্বাভাবিক বলেই তিনি মনে করেন।“এদেশের নিয়ম হচ্ছে রাস্তাঘাটে কেউ কারো দিকে তাকায় না। কিন্তু আজ রাস্তাঘাটে সবাই ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছে বিশেষ করে আমাদের মতো বিদেশীদের দিকে। পাশের লোকের দিকে খুব তাকাচ্ছে। মানুষ খুব সতর্কভাবে চলাফেরা করছে”।

এবছরের গোড়ার দিকে শার্লি হেবদো পত্রিকায় হামলার ঘটনা স্মরণ করে মি. ইসলাম বলেন, “সেটা ছিল আমার বাসার খুব কাছে, তখনও মানুষকে এমন আচরণ করতে দেখা যায়নি, আজকে যেটা দেখছি”।জাহিদুল ইসলাম আরো জানাচ্ছেন, তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। অনেকেই কাজে আসেনি।
বিশেষ করে যারা অবৈধভাবে ফ্রান্সে অবস্থান করছে তারা ঘর থেকে বের হওয়াই বন্ধ করে দিয়েছে।