পুলিশের হাতে রাতে গ্রেফতার-মধ্যরাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বিএনপি নেতা নিহত
স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের হাতে শনিবার রাতে গ্রেফতার হয়ে মধ্যরাতে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলিউল্লাহ মোল্লা।শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওই বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন দাবি করে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে বন্দুকযুদ্ধের আগে তাকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছিল পুলিশ।
জানা যায়, শনিবার রাতে ঢাকায় যাওয়ার পথে দেবহাটার পারুলিয়া থেকে অলিউল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহত ওই বিএনপি নেতার চাচা শাহজাহান আলি জানান, অলিউল্লাহ মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় শ্রমিক সরদারের কাজ করে আসছেন।
তিনি শনিবার রাতে একটি বাসে করে বাড়ি থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এসময় পুলিশ তাকে দেবহাটার পারুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। রাতে শ্যামনগর থানার সেকেন্ড অফিসার নিখিল চন্দ্র তাকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেন।এদিকে পুলিশের দাবি, বহু মামলার পলাতক আসামি অলিউল্লাহ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, শ্যামনগর থানার উপ পরিদর্শক সুধাংশু শেখরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার কাশিমারি ইউনিয়নের গাংহাটি চোরাখাল কালভার্টের ওপর টহল দিচ্ছিল।
এ সময় একদল লোক মোটর সাইকেলে দ্রুতবেগে পালাতে থাকলে পুলিশ তাদের থামতে সংকেত দিলেও তারা তা থামেনি।উল্টো তারা পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে ও গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মোটর সাইকেলসহ পড়ে যায়।অন্যরা মোটর সাইকেল ঘুরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তাকে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারি গ্রামের নাশকতার বহু মামলার পলাতক আসামি অলিউল্লাহ মোল্লা হিসাবে শনাক্ত করা হয়।
তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মাদারিপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি। অলিউল্লাহ মোল্লা কাশিমারি গ্রামের একরামুল হক মোল্লার ছেলে।তিনি খুলনার দৈনিক অনির্বানের শ্যামনগর উপজেলার সাবেক প্রতিনিধি ছিলেন।
জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধের সময় দুই পুলিশ সদস্য আহত হন।তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি মোটর সাইকেল, একটি সাটার গান ও বিস্ফোরিত বোমার কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত অলিউল্লাহর লাশ শ্যামনগর থানায় রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।তবে কালিগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মির্জা সালাহউদ্দির আহমেদ অলিউল্লাহকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করেন।