• মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৪

পুলিশের আস্কারায় নিষ্পাপ বৃদ্ধ দম্পতির ঘাতকদের পলায়ন


প্রকাশিত: ২:২৮ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫০ বার

 

খন্দকার বাদশা :     মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় গাড়ি চাপায় বৃদ্ধ দম্পতি নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনও ধরা পড়েনি ঘাতকরা। 00এতে জড়িতরা শনাক্ত হয়েছে কিনা সেটাও বলতে রাজি হয়নি পুলিশ। পুলিশের লুকোছাপায় হতাশ এই দম্পতির একমাত্র ছেলে রায়হান। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

নিহত দম্পতির ছেলে রায়হান জাতিরকন্ঠকে বলেন, ‘ঘটনার পর অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর এ ঘটনায় জড়িতদের পুলিশ ধরতে পেরেছে কি না, সে বিষয়ে পুলিশ কিছু জানায়নি।’ এসময় তিনি ‘এসব লিখে কিছুই হবে না’ বলেও হতাশা প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহার পরদিন বুধবার ভোরে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে হাজী আশরাফ আলী মার্কেটের সামনে প্রাইভেটকার চাপায় নিহত হন বৃদ্ধ দম্পতি আতাউর রহমান (৭৮) ও তার স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৬০)। পরে শুক্রবার দুপুরে পূর্ব শেওড়াপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয় এ দম্পতিকে।

রায়হান জানান, ঈদের পরদিন বুধবার ফজরের নামাজ পড়ে বাবা-মা মোহাম্মদপুরের বড় বোনের বাসায় যেতে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে সিএনজি কিংবা রিকশার অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো- গ ২১-৮৫৭১) এসে তাদের ধাক্কা দেয়। এতে দু’জনই কয়েকগজ দূরে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মারা যান বাবা-মা। খবর পেয়ে তারা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ঘাতকরা গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, বাবা কৃষি মন্ত্রণালয়ে চাকরি শেষে অবসরে গিয়েছিলেন। পূর্ব শেওড়াপাড়ার ৯২১ নম্বর হোল্ডিংয়ের ছয়তলা বাড়িটি তাদের। সেখানেই সপরিবারে থাকতেন তারা। ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে যান কাফরুল থানার এসআই ফেরদৌস আহমেদ। তিনি বৃদ্ধ দম্পতির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠান। এ দুর্ঘটনা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তিনি।

এসআই ফেরদৌস আহমেদ জাতিরকন্ঠকে জানান, বৃদ্ধ দম্পতির ঘাতকদের এখনও ধরতে পারেননি তারা। ঘাতকদের শনাক্ত করতে পারলে ধরে ফেলা হতো। তবে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এসআই ফেরদৌস আরও জানান, বিআরটিএর মাধ্যমে গাড়ির মালিকের তথ্য সংগ্রহ করেছেন। গাড়ির মালিকের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে গাড়ির মালিকের বিস্তারিত তথ্য দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। গাড়িটি একাধিকবার বিক্রি হয়েছিল।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, যারা প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিল তারা মাতাল ছিল। দুর্ঘটনার সময় প্রাইভেটকারটি রোড ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গাড়ি থেকে মদের বোতলসহ কিছু আলামতও জব্দ করা হয়েছে।