• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

পুলিশের অবহেলায় ৪৮ ঘন্টায়’ও ধরা পড়েনি দুর্ধর্ষ জঙ্গি কাশু ফরিদ


প্রকাশিত: ২:৫২ পিএম, ৬ মার্চ ১৮ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  এবার আদালত থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া দুর্ধর্ষ জঙ্গি নব্য জেএমবির সদস্য কাউসার কাশেম ওরফে কাশু ফরিদ (২১) কে গত ৪৮ ঘন্টায়ও পুলিশ ?????????????????????????????????????????????????????গ্রেফতার করতে পারেনি।এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার দায়ে কাউকেও বরখাস্ত করা হয়নি। গঠন করা হয়নি কোনো তদন্ত কমিটিও।এই জঙ্গি পলায়নের ঘটনায় কতিপয় অসাধু পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগসাজশ থাকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া কাশু ফরিদের মতো দুর্ধর্ষ জঙ্গিকে আদালতে আনার সময় সর্ব্বোচ্চ সতর্কতা কেন নেয়া হয়নি তাও প্রশ্ন সাপেক্ষ!

আদালত সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত হাজিরার জন্য ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে শনিবার (৩ মার্চ) নরসিংদী জেলা কারাগারে আনা হয়।সেখান থেকে পুলিশ রোববার (৪ মার্চ) সকাল পৌনে ১০টার দিকে জেলা আদালতের হাজতে নিয়ে আসেন। পরে দুপুরে তাকে আদালতের এজলাসে নিয়ে যাবার সময় সে পালিয়ে যায়।তাকে ধরতে পুলিশ সদস্যরা পিছু নিলেও তাকে ধরতে পারেনি।নব্য জেএমবির সদস্য কাউসার কাশেম ওরফে কাশু ফরিদ (২১) জেএমবির অর্থের জোগানের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি ও ছিনতাই করত। সে সিরাজগঞ্জের কালিম উদ্দিনের ছেলে।

২০১৬ সালের নয় সেপ্টেম্বর নরসিংদী শহরের বাসাইলের একটি বাড়িতে জঙ্গি তৎপরতা ও ডাকাতি করার সময়  চার সহযোগীসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন।ওই সময় তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে কাউন্টার টেররিজমের সদস্যরা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের সঙ্গে জঙ্গি তৎপরতার সম্পৃক্ততা পান।পরে তাদের অস্ত্র ও ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে।

পুলিশের বিভিন্ন সূত্র জানায়, কাউসার নব্য জেএমবির সক্রিয় কর্মী। সে গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য জঙ্গিদের মামলা ও সংগঠন পরিচালনায় অর্থের যোগানের জন্য বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি ও ছিনতাই করতো। ঢাকার বড় বড় ডাকাতির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।এমনকি গ্রেপ্তার হবার পর কারাগারে বসে অন্য বন্দিদের নব্য জেএমবির সদস্য বানানোর অভিযোগ রয়েছে জঙ্গি কাউসারের বিরুদ্ধে। ফলে সিলেটে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবালের ওপর জঙ্গি হামলার পরদিনই নরসিংদীর আদালত থেকে জঙ্গি কাউসারের পালানো একই সূত্রে গাঁথা বলে মনে করছে পুলিশ।

এদিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে পলাতক কাউসারকে গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা পুলিশসহ একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। তবে সে নরসিংদী ছেড়ে অন্য জেলায় আত্মগোপন করছে বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।কিন্তু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখা এবং মামলায় কোনো আইনজীবী ব্যবহার না করায় সূত্র পেতে বেগ পোহাতে হচ্ছে পুলিশের।

নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম (বিপিএম) বলেন, কাউসারকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।আদালতে সিসি ক্যামেরা থাকলে জঙ্গি কাউসারের পালানোর ঘটনা সহজে উদঘাটন সম্ভব হতো। কিন্তু বিচার বিভাগের আপত্তির কারণে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েও তা খুলে ফেলায় জঙ্গি কাউসারের পালানোয় সহযোগীদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।