• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

পালাচ্ছে মিয়ানমার আর্মি-৬০০ আশ্রয় নিয়েছে ভারতের মিজোরামে


প্রকাশিত: ৫:২৫ পিএম, ২০ জানুয়ারী ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৬ বার

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : মিয়ানমারে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের লড়াই তীব্র হয়ে ওঠার পর দেশটির বহু সেনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই মিয়ানমারের জান্তার প্রায় ৬০০ সেনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভারতের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রাজ্য মিজোরাম সতর্ক হয়ে উঠছে। তারা দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারকে এ পরিস্থিতির বিষয়ে জানিয়ে প্রতিবেশী দেশের সেনাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর তাগাদা দিয়েছে।

ভারতের সরকারি কর্মকর্তারা দেশটির গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের প্রায় ৬০০ সেনা মিজোরামের লঙ্গটলাই জেলায় আসাম রাইফেলসের শিবিরে আশ্রয় নিয়ে আছে। মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর শিবির দখল করার পর এসব সেনা ভারতে পালিয়ে আসে।আরাকান আর্মি মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর একটি সশস্ত্র বাহিনী। তারা রাখাইনের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, সম্প্রতি শিলংয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চীয় রাজ্যগুলোর কাউন্সিলের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মিজোরামের সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা।বৈঠকে লালডুহোমা তার রাজ্যে আশ্রয় নিয়ে থাকা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যদের দ্রুত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।

মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে আর তা ওই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে পারে, এমন শঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে আছে মিজোরাম।কাউন্সিলের অধিবেশনের পর লালডুহোমা সাংবাদিকদের বলেন, “লোকজন মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আমাদের দেশে আশ্রয় নিতে চলে আসছে। মানবিক কারণে তাদের সাহায্য করছি আমরা। মিয়ানমারের সেনারা আসতেই আছে, এসে আশ্রয় চাইছে।

“এর আগে বিমানে করে তাদের নিজ দেশে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। এ পর্যন্ত ৪৫০ জন সেনা সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”
অক্টোবরে মিয়ানমারের তিনটি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র বাহিনী জোট বেঁধে সরকারি বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে। তারপর থেকে তারা বেশ কয়েকটি শহর, সামরিক পোস্ট দখল করে নেয় আর সরকারি সেনাদের পালাতে বাধ্য করে। এতে মিয়ানমারের জেনারেলরা ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।