পাক সুন্দরীর প্রেমে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব নিলেন ড্যারেন স্যামি
স্পোর্টস রিপোর্টার : ক’দিন আগে তার নেতৃত্বে টি ২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যারিবীয়দের টি ২০ বিশ্বকাপের ট্রফি জিতিয়েছেন স্যামি। বিশ্বকাপজয়ী এ অধিনায়ককে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
সব মিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে স্যামির টেকাইটাই দায় হয়ে যাচ্ছিল।এ অবস্থায় স্যামির বান্ধবী তদবির করেন পেশোয়ারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে।পেশোয়ারের মুখ্যমন্ত্রীও ছিল স্যামির বান্ধবীর ফ্যান। ফলে কোনবাঁধাই আটকায়নি।
এদিকে সুযোগ না পাওয়ায় রাগে-ক্ষোভে টেস্ট থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন স্যামি। ভালো খেলার পরও রয়েছেন ওয়ানডে দলের বাইরে। টি ২০ বিশ্বকাপে খেলতে অবশ্য কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি স্যামি-গেইলদের। বিশ্বকাপের ফাইনালের মঞ্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের দুর্নীতির কথা তুলে ধরায় পড়েছেন বোর্ডের রোষানলে।
এরপর হয়তো আর ওয়স্ট উন্ডিজ জার্সি গায়ে তাকে না-ও দেখা যেতে পারে। এজন্যেই কি পাকিস্তানের নাগরিকত্বটা নিয়ে রাখলেন তিনি!স্যামি ক্যারিবীয় দ্বীপদেশ সেন্ট সুসিয়ার নাগরিক। পেশোয়ার জালমির স্বত্বাধিকারী জাভেদ আফ্রিদির অনুরোধেই ড্যারেন স্যামিকে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব দেয়া হয়। পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল) প্রথম আসরে পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলেছিলেন স্যামি। সেখান থেকে দু’জনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে খাইবার প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খাটাক টুইট করেন, ‘জাভেদ আফ্রিদির বিশেষ অনুরোধে আমরা ড্যারেন স্যামিকে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব দিচ্ছি।’ এ সময় তিনি ড্যারেন স্যামিকে ‘স্যামি খান’ নামে ডাকেন। পারভেজ খাটাকের টুইটের উত্তরে ‘পশতু’ ভাষায় টুইট করে তাকে ধন্যবাদ জানান স্যামি। পশতু ভাষায় নিজেকে পারদর্শী করতে এ ভাষায় টুইট করেন তিনি। জাভেদ আফ্রিদির কাছ থেকে পশতু ভাষা শিখেছেন বলেও জানান স্যামি।
এর আগে জাভেদ আফ্রিদি স্যামিকে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে টুইট করেন, ‘পাকিস্তানের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসার জন্য আমরা স্যামির নাগরিকত্বের ব্যাপারে সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি।’