• বুধবার , ১৫ মে ২০২৪

পাঁচ ধর্ষক যুদ্ধাপরাধি’র ফাঁসি’র আদেশ


প্রকাশিত: ৭:৫১ পিএম, ১৩ আগস্ট ১৮ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯২ বার

 

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি : একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে পটুয়াখালীর ইসহাক সিকদারসহ পাঁচ রাজাকারের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

ইসহাক সিকদার ছাড়া মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য চারজন হলেন আব্দুল গণি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলভী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার প্যাদা ও সুলাইমান মৃধা। রায় ঘোষণার সময় আসা‌মিরা সবাই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আ. সাত্তার পালোয়ান।

এর আগে বেলা পৌনে ১১টায় রায় পড়া ‍শুরু হয়। ১৫৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়েন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার। ‌পরে বেলা পৌ‌নে ১২টার দি‌কে রায় ঘোষণা করা হয়। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে পাঁচ আসা‌মির সাজা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রায়ে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন যে দুটি অভিযোগ এনেছিল দুটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালীর ইটাবাড়িয়া গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, ১৭ জনকে হত্যার ঘটনায় আসামিদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ওই গ্রামের অন্তত ১৫ নারীকে ধর্ষণের ঘটনাতেও সবাইকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, ‘আসামিরা ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। যারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তাদের সারা জীবন এই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হবে। তারা আমাদের সত্যিকারের ওয়ার হিরো। সময় এসেছে এই হিরোদের স্বীকৃতি দেওয়ার।
গতকাল একই বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন। এর আগে গত ৩০ মে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

গত বছরের ৮ মার্চ এ মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পরে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ ছয় ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা ও ১৭ জনকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এখনও আটজন বীরাঙ্গনা জীবিত আছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়।