• রোববার , ২৪ নভেম্বর ২০২৪

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রী খুন- স্ত্রীকে নদীতে ফেলে ধরা পড়ল স্বামী


প্রকাশিত: ৩:৪৯ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৩ বার

স্টাফ রিপোর্টার : পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে নদীতে ফেলে হত্যার পর খুনী স্বামী কে পাকড়াও করেছে পুলিশ। পরিকল্পনা মত স্ত্রীকে নদীতে ফেলে হত্যা করার পর, থানায় এসে নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে স্বামী। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের জালে ধরা পড়ে খুনী স্বামী রনির নাটকীয়তা। জানা গেছে, বিয়ের চার মাসের মাথায় স্ত্রী ফারজানাকে খুন করেন স্বামী রনি। গ্রেপ্তারের পর রনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে, পরকীয়ার সন্দেহের জেরে স্ত্রীকে তিনি বছিলা ব্রিজ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছেন।

গত ২১ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর পাশের ডোবায় বোরকা পরা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে উদ্ধার করে পুলিশ। ফারজানা নামে এই নারীকে নিখোঁজ দাবি করে থানায় জিডি করেছিলেন তার স্বামী রনি মিয়া। স্ত্রীর পরকীয়া সন্দেহে তাকে পূর্বকল্পিতভাবে বছিলা ব্রিজ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় রনি। পরে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে রনি সত্য প্রকাশ করে।

পরে ঘাতক রনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এনিয়ে বিস্তারিত জানায় ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ঠাণ্ডা মাথায় ফারজানাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ফারজানার স্বামী রনি।গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে তাদের মধ্যে ঝগড়ার পর ফারজানাকে হত্যার সূক্ষ্ম পরিকল্পনা করে রনি। ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ফারজানাকে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বছিলা ব্রিজ (শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু) সংলগ্ন নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পেছনে নিয়ে যায়। এরপর ফারজানাকে গভীর পানিতে ফেলে হত্যা করে।

নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ফারজানা পানির ডুবে যায়। ফিরে এসে রনি মিয়া স্বজনদের ফোন দিয়ে বলে যে ফারজানা ঝগড়া করে বাসা থেকে বের হয়ে তার সাবেক প্রেমিকের কাছে চলে গেছে। তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় স্ত্রী নিখোঁজের জিডিও করেন।

চার মাস আগে পেশায় নার্স ফারজানাকে বিয়ে করেন নৌ-বাহিনীর সাবেক সদস্য রনি মিয়া। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ চলছিল। একদিন স্বামীর ঘর করবে না বলে জানান ফারজানা। এমনকি তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেবে বলে জানান ফারজানা। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রনি।

হত্যা রহস্য কিভাবে খোলাসা হলো- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে ঢাকার পুলিশ সুপার বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে রনি রাতে কোথায় কোথায় অবস্থান করেন, সেসব লোকেশন বের করা হয়। তার ওপর ভিত্তি করে পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু কররে সব বেরিয়ে আসে।
ফারজানার স্বামী রনির দেওয়া তথ্যগুলো যাচাইকালে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে তার দেওয়া তথ্যগুলো মিথ্যা। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে রনি ফারজানাকে হত্যার পরিকল্পনার তথ্য দেয় পুলিশকে। এ ঘটনায় ফারজানার ভাই আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে রনির বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেন।