নেত্রীর মন গলাতে ভিন্ন সুরে লতিফ!
বিশেষ প্রতিনিধি: এবার নেত্রীর মন গলাতে ভিন্ন সুরে কথা বলছেন সেই লতিফ ! আওয়ামী লীগ ও মন্ত্রীসভা থেকে বহিস্কৃত নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, কোন সন্তান যখন ভুল করে তখন মা তাকে বকাঝকা করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তাই বলে কি কোন মা তার সন্তানকে মন থেকে বের করে দেয়? সুতরাং আমিও আওয়ামী লীগ ছাড়িনি, আওয়ামী লীগও আমাকে ছাড়েনি। আমিতো এর আগেও পাঁচবার দল থেকে বহিষ্কার হয়েছি।
শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ইছাপুর শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত এক ইউপি চেয়ারম্যানের সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি কেন দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছি, কেন কারাগারে গিয়েছি তা আমিই ভাল জানি। দল থেকে বহিষ্কার হলেই দলকে বহিষ্কার করা যায় না। আওয়ামী লীগের জন্মদাতা নেতাদের মধ্যে আমিও একজন।
শেখ হাসিনার প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমি যখন টাঙ্গাইলে আসি তখন আমার নিরাপত্তার জন্য পুলিশ দিয়ে রাখে। তার মানে নেত্রী আমাকে কাজে লাগাবে। আপনারা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন। লতিফ সিদ্দিকী বলেন, এক বাচাল ফোন করে আমার কাছে মতামত চেয়েছে আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসব কিনা। আচ্ছা এ ব্যাপারে আমি মতামত বা সিদ্ধান্ত দেবার কে? মতামত দেবে জনগণ। আমি সিদ্ধান্ত দেয়ার ক্ষমতা রাখি না। সিদ্ধান্ত দেবে সময়। সিদ্ধান্ত দেবে পরিবেশ। নেতার প্রতি আমার আস্থা আছে।
কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাবেক জেলা সেক্রেটারী হাসমত আলীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত আনোয়ার উল আলম শহীদ।
এসময় বক্তব্য রাখেন লতিফ সিদ্দিকীর সহধর্মিনী লায়লা সিদ্দিকী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ তোতা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সংবর্ধিত ইউপি চেয়ারম্যান হাসমত আলী ও এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নূর-এ-আলম সিদ্দিকী।
উল্লেখ্য, লতিফ সিদ্দিকীর সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী বিকম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এফবিসিসিআই এর পরিচালক আবু নাসেরও এই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন। বহিষ্কৃত নেতার সাথে তাদের অতিথি হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অবশেষে এই তিন নেতা সংবর্ধনা সভায় অংশগ্রহন করেননি।