• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

নেত্রকোনায় ফাঁকা মাঠে গোল সাজ্জাদুলের


প্রকাশিত: ৭:১০ পিএম, ২৪ জুলাই ২৩ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫২ বার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনায় ফাঁক মাঠে গোল দিলেন সাজ্জাদুল হাসান। নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) আসনের উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান। সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র এই সচিব। আসনটিতে তার বিপরীতে আর কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি।

জেলা নির্বাচন অফিসার গোলাম মোস্তফা জানান, সোমবার উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। এদিন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদুল হাসান দলীয় সমর্থকদের নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। আর কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার যাচাইবাছাইয়ের পর তার মনোনয়নপত্রটি বৈধ বলে গৃহীত হলে পরবর্তীতে বিধিমোতাবেক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

সাবেক গণপরিষদ সদস্য ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদের ছেলে সাজ্জাদুল হাসান বিভিন্ন জেলায় প্রশাসন ক্যাাডারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পর দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ছিলেন। সেখান থেকে অবসর গ্রহণের পর দায়িত্ব পালন করেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে। অবসরগ্রহণের পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত হন। চাকরিতে থাকাবস্থায় এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখেন।

নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ ও আদর্শনগরে শহীদ স্মৃতি কলেজ প্রতিষ্ঠা, জেলা বার ভবন, প্রেসক্লাব ভবন, মোহনগঞ্জ পৌরসভায় অত্যাধুনিক পার্ক, বাহাম গ্রামে শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স, জৈনপুর গ্রামে উকিলমুন্সি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও আদর্শনগরে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ এবং মোহনগঞ্জের শিয়ালজানি খালের খনন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রভৃতি উন্নয়নমূলক কাজে তার প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে। এসব উন্নয়ন কাজের মধ্য দিয়ে তিনি নির্বাচনী এলাকায় যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন বলে দাবি করা হয়

। মনোনয়ন দাখিলের পর সোমবার দুপুর ২টার দিকে সাজ্জাদুল হাসান নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমার গোটা পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী। আমার বাবা ডা. আখলাকুল হোসাইন আহমেদ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে নিজ এলাকায় অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাব।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটন, সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নূর খান মিঠু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ভজন সরকারসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।জাতীয় সংসদের ১৬০ নম্বর (নেত্রকোনা-৪) আসনের সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন গত ১১ জুলাই বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। এ কারণে গত ১৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন পদটি শূন্য ঘোষণাসহ নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করে। সে অনুযায়ী আগামী ২ সেপ্টেম্বর আসনটিতে ভোট গ্রহণ করার কথা।