নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ণে বিপন্ন সড়ক ও জনপদ
অালাল আহম্মেদ . জয়পুরহাট : ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এই শ্লোগান নিয়ে চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন দীর্ঘদিন ধরে সেমিনার করে চলেছে, কিন্তু তাতেও কি কোন কাজ হচ্ছে? সন্ধ্যার পর রাস্তায় কোন বাহনে করে বেরুলে বিপরীত মুখি আসা মটর সাইকেল, বাস বা ট্রাকের হেড লাইটের তির্যক আলোতে চোখে নেমে আসে অন্ধকার-দিশেহারা হয়ে বাহন থামাতে হয়। আলোটি ক্রস করার পর পুনরায় বাহনটি চালাতে হয়, আবার কোন চোখ ঝাঁঝালো হেড লাইটের অাতংক নিয়ে।
এবার আসা যাক ‘শব্দদূষণ’ পরিবেশবীদ্দের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জেলা শহর গুলোতে ৫০ শতাংশ বিভাগীয় শহরে ১০০ শতাংশ দূষনের আওতায় মানুষ দিশেহারা জীবন যাপন করছে। যেমন: “হাইড্রোলিক হর্ণ”- রাস্তায় চলাচলের সময় পেছন থেকে কোন ট্রাক বা বাস হাইড্রোলিক হর্ণ চাপলে মূহুর্তের জন্য হৃদস্পন্দন থেমে যায়, নেমে আসে অন্ধকার, অবশেষে রাগ সংবরণ করে অসহায় মেজাজে চলতে থাকে পথ ও পথিক।
ভাবা যায়! একটি শিশু, বৃদ্ধ বা হৃদ রোগীর ক্ষেত্রে হর্ণ গুলো কত ভয়ংকর? ‘উন্নত বিশ্বে হাইড্রোলিক হর্ণ বনের পশু তাড়ানোর জন্যে ব্যবহার করা হয়। অথচ আমাদের দেশে রাস্তার মানুষ তাড়ানোর জন্যে ব্যবহার করা হচ্ছে’ যদিও রাষ্ট্রিয় বিধানে হেড লাইট বা হাইড্রোলিক হর্ণ নিষিদ্ধ করা আছে, তার পরেও এই লাইট বা হর্ণ কোন আইনে আমদানী করা হচ্ছে আমাদের আইন প্রণেতাদের ভাবা দরকার।