নিষিদ্ধ জঙ্গি আনসার-আল-ইসলামের নেপথ্যে কে?
সাইফুল বারী মাসুম : নিষিদ্ধ আনসার-আল-ইসলামের নেপথ্যে কে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, এই সংগঠনটির কার্যক্রম দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে বিবেচিত হয়েছে।এ নিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা ও উগ্র ইসলামি সংগঠন বিবেচনায় সাতটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হল। কিন্তু কারা এই আনসার-আল-ইসলাম এনিয়ে চলছে নানা কাহিনী?
জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে গবেষণা করছেন মানবাধিকার কর্মী নুর খান বলছেন, এর আগে এই সংগঠনটি আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে পরিচিত ছিল। একটা সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে ব্লগার, লেখক, প্রকাশক এবং সমকামী ও ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করেছে তারা।মি. খান আরো জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তারা আনুগত্য প্রকাশ করেছে আল কায়েদার কাছে।
তারা নিজেদের আল কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশ বলে দাবী করে। এক সময় আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নামে একটি ফেইসবুক গ্রুপ ছিল, বলে জানা যায়। তারা অনলাইনে প্রচার-প্রচারণা চালাত। পরবর্তীতে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিজেদের নাম পরিবর্তন করে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে এই সংগঠনটির আন্তর্জাতিক যোগাযোগ দৃঢ় পর্যায়ে হয়েছে।
২০১৫ সালের মে মাসে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম নিষিদ্ধ করে সরকার। এরপর থেকে ঐ দলটির সদস্যরাই আনসার আল ইসলাম নামে তৎপরতা চালিয়ে আসছে বলে পুলিশের ধারণা। এ নিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা ও উগ্র ইসলামি সংগঠন বিবেচনায় মোট সাতটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হল। সরকারের জঙ্গি বিরোধী কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা কতটা প্রভাব ফেলে?
মি. খান বলছেন, এই ধরণের সংগঠনগুলো অতি গোপনীয়তা বজায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করে, বিভিন্ন যোগাযোগ স্থাপন করে এবং নতুন কর্মী রিক্রুট করে। এরপর সদস্যদের প্রশিক্ষণও হয় গোপনে। এরপর কর্মীরা কেউ সামরিক দায়িত্ব নেয়া, কেউ যোগাযোগ, কেউ অর্থের যোগান এবং কর্মীদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে। পুরো কাজটাই হয় গোপনে।
ফলে শুধুমাত্র নিষিদ্ধ করে এদের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা যায় না বলে মি. খান মনে করেন। এজন্য সরকারী বাহিনীর সমন্বিত তৎপরতা বাড়ানো এবং সার্বিক নিরাপত্তা বলয় তৈরিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করাকে জরুরী বলে মনে করেন মি. খান।