নায়িকা আনুষকার লাভার কোহলী কেন ব্যাড বয়?
প্রিয়া রহমান : নায়িকা আনুষকার লাভার কোহলী কেন ব্যাড বয়? অনেকের চোখে সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। কারও দৃষ্টিতে শচীন টেন্ডুলকারের যোগ্য উত্তরসূরি। কারও চোখে টেন্ডুলকারের চেয়েও ভালো! ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলির ভক্তের কোনো অভাব নেই। কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মাঠে তাঁর শরীরী ভাষা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলে যাচ্ছেন।
‘ব্যাড বয়’ উপাধিও জুড়ে গেছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানের গায়ে। তবে কোহলি অবশ্য ওসব নিয়ে খুব একটা ভাবিত নন। নিজেকে তিনি বরং ‘প্রতিবাদী’ হিসেবেই দেখেন।একটি ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় কোহলি উল্টো প্রশ্ন করেছেন, লোকে কেন তাঁকে খারাপ বলে? সাক্ষাৎকারে অবশ্য তাঁর ব্যক্তিত্বের আরও অনেক দিক নিয়েও কথা বলেছেন কোহলি।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই মাঠে একটু বেশিই আগ্রাসী কোহলি। ব্যাট হাতে তো সব সময়ই, এমনকি ফিল্ডিংয়ের সময়ও প্রতিপক্ষের উইকেট পড়লে বা দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলতে গেলে যেন আবেগে আর বাঁধ দিতে পারেন না ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক। এ নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি, অনেকের কাছে আবেগের এই বহিঃপ্রকাশ কোহলির ‘ইমেজ’কে আরও খারাপ করে। তার ওপর ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার সঙ্গে প্রেম-বিচ্ছেদ নিয়েও কিছুটা চাপে আছেন ২৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
তবে কোহলি ওসব নিয়ে একদমই চিন্তা করতে রাজি নন। সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘কেন আমাকে সবাই খারাপ বলে, “ব্যাড বয়” উপাধি দেয়? এর কোনো মানেই খুঁজে পাই না। আমি যা ভাবি তা হলো, প্রতিবাদী হলেই সেটিকে খারাপ কেন বলতে হবে? এত ঘৃণার তো কিছু নেই!’
মানুষের সমালোচনাকে তিনি ভয় করেন না, মাঠে প্রতিপক্ষ বোলারদেরও নয়। এমন কিছু কি আদৌ আছে, যেটিকে কোহলি ভয় পান? আছে, হেরে যাওয়ার ভয়। কোহলিই বলেন, ‘আমি হারতে ভয় পাই। অনেক বেশি। মাঠের হারগুলো তো মেনে নেওয়া শিখে গেছি। কিন্তু জীবনের মাঠে…সেখানে হারতে আমি একদম ঘৃণা করি।’
ভয় নিয়ে কথা বলেছেন, কথা বলেছেন প্রেরণা নিয়েও। কোহলির দাবি, আর যা-ই হোক, অর্থের ঝনঝনানি কখনো তাঁকে প্রলুব্ধ করে না। তবে অনেক হতভাগ্য খেলোয়াড়ের মতো অবসরের পর ‘দেউলিয়া’ও হতে চান না, ‘অর্থ আমাকে প্রেরণা দেয় না। অবশ্যই এটা গুরুত্বপূর্ণ। একটা নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক স্থিতির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।
এটা অবশ্যই ধরে রাখতে চাইব…অনেক অ্যাথলেটকেই দেখেছি ক্যারিয়ার শেষে দেউলিয়া হয়ে যেতে। এটা অনেক ভীতিকর!’অবশ্য তেমন কিছু না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি। শুধু গত বছরেই কোহলির আয় ছিল ১০০ কোটি রুপির মতো। এই বছরে যেমন পারফরম্যান্স, তাতে সেটি আরও বাড়বে বলেই ধরে নিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।