নারায়ণগঞ্জে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন সাত ডাকাত নিহত
জেলা প্রতিনিধি.নারায়নগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে সাতজন নিহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পুরিন্দাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. জহির বলেন, গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন সাতজন ডাকাত নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত সন্দেহভাজন পাঁচ ডাকাত পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছে।গণপিটুনিতে হতাহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।ঘটনাস্থল পুরিন্দাবাজার এলাকাটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। বাজারে কয়েক শ দোকান আছে।
বাজারের নৈশপ্রহরী জামানের ভাষ্য, পাঁচ টনের একটি খালি ট্রাকে চেপে ১০ জনের বেশি ব্যক্তি পুরিন্দাবাজারে আসে। এ সময় তিনি (জামান) ও আরেক নৈশপ্রহরী মোতালেব দায়িত্ব পালন করছিলেন। ট্রাকে করে আসা লোকজন তাঁদের (নৈশপ্রহরী) কাছে গফুর ভূঁইয়ার চালের আড়তের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চায়। তারা চাল কিনতে আসার কথা বলে। আড়তের অবস্থান জানার পর দুই নৈশপ্রহরীর হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে ওই ব্যক্তিরা। এরপর তারা আড়তের তালা ভেঙে চালভর্তি বস্তা ট্রাকে তুলতে থাকে। নৈশপ্রহরী জামানের ভাষ্য, তিনি কৌশলে তাঁর বাঁধন খুলে বাজারের পেছনের গ্রামে চলে যান। গ্রামের লোকজনকে ডাকাতির কথা জানান তিনি।
স্থানীয় মসজিদের মাইকে এই তথ্য ঘোষণা করা হয়। গ্রামবাসী ও বাজারের লোকজন জড়ো হয়ে সন্দেহভাজন ডাকাতদের ধাওয়া করে পিটুনি দেয়।সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অদুদ মাহমুদ বলেন, গণপিটুনির শিকার হয়েছে—এমন নয়জনকে নিথর অবস্থায় উদ্ধার হতে দেখেছেন তিনি। তারা মৃত নাকি জীবিত, তা বুঝতে পারেননি তিনি।অদুদ মাহমুদের বিবরণ অনুযায়ী, আনোয়ারের বাড়ির পুকুর থেকে তিনজন, মোল্লার মাঠ থেকে দুজন, ঢাকা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সামনে থেকে একজন, পাঁঠাওয়ালার বাড়ির সামনে থেকে একজন, পুরিন্দাবাজার এলাকা থেকে একজন ও বাগবাড়ি বাজার থেকে একজন উদ্ধার হওয়ার তথ্য জানেন তিনি।
পুলিশ জানায়, লাশ সাতটি উদ্ধার করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে আড়াইহাজার থানায়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।