বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: নানা অভিযোগ ও ব্যর্থতার পরও পূর্ণ মন্ত্রী! এর আগে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শপথ নিলেন ৫ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় নতুন পাঁচজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শপথ নিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন কালে নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আসাদুজ্জামান খান কামালকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়ায় এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অনেক দুর্নীতি রয়েছে যা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দূর করতে পারেন নি। অথচ তাকে কি জন্য প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হলো সেটি আমার বোধগম্য নয়। এটি প্রধানমন্ত্রীই ভাল জানেন। কারণ দলের গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধন্ত নেয়ার এখতিয়ার শুধু মাত্র প্রধানমন্ত্রীর।মঙ্গলবার রাতে যমুনা টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার আগে তিনটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রতিশ্রুতি গুলো হলো, সুশাসন, গণতন্ত্র ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীয়করণ। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই প্রতিশ্রুতি গুলোর একটিও তারা বাস্তবায়ন করতে পারে নি। তবে মন্ত্রী সভার রদবদলের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটবে বলে আমি আশা করছি।
সুজন সম্পাদক বলেন, মন্ত্রী সভার রদবদলে যারা এখন পূর্ণমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন তাদের কাজের দায়িত্ব এখন বেড়ে গেছে।
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নতুন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের শপথ পড়ান।পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা নুরুল ইসলাম বিএসসি।
এ ছাড়া নতুন প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ তারানা হালিম ও লালমনিরহাটের সাংসদ নুরুজ্জামান আহমেদ।শপথ গ্রহণের পর পরই মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
নুরুল ইসলাম বিএসসিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ইয়াফেস ওসমানকে আগের মন্ত্রণালয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আসাদুজ্জামানকেও আগের মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তারানা হালিমকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং নুরুজ্জামান আহমদকে খাদ্য মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ওই বছরের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। তখন অধিকাংশ পুরোনো মন্ত্রীকে বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত নতুন ও আগের সরকারের সময় দলের বাদ পড়া জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে সরকার গঠন করা হয়। ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আরেক দফা তাঁর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেন। সে সময় এ এইচ মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নজরুল ইসলামকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
হজ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য গত বছরের ১২ অক্টোবর আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে অপসারিত হন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন করা হয়।আজকের তিনজনসহ বর্তমান মন্ত্রিসভায় ৩২ জন মন্ত্রী, মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর একজন বিশেষ দূত ও পাঁচজন উপদেষ্টা, ২০ জন প্রতিমন্ত্রী এবং দুজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।