চিনি, ক্রিম, চকলেট, দুধ—এসব উপকরণে তৈরি হয় আইসক্রিম। তবে এসব উপকরণ ছাড়াই দিব্যি আইসক্রিম তৈরি করছিল মিম আইসক্রিম ।
আইসক্রিম তৈরিতে তারা ব্যবহার করছিল শিল্প-কারখানা ও কাপড়ে ব্যবহার্য রং, স্যাকারিন, কৃত্রিম সুগন্ধি, অ্যারারুট ও কলের পানি।
রাজধানীর ৩৬৩ / ১ বি পশ্চিম নাখালপাড়ায় মিম আইসক্রিমের কারখানা।
আজ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে মিম আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে অভিযান চালিয়ে এ ধরনের ১৫ হাজার পিস জব্দ করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ১১টি ফ্রিজে রাখা এসব আইসক্রিম জব্দ করে পরে সেগুলো ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া কারখানাটির মালিক মো. আলমগীর হোসেনের কাছ এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে কারখানাটি সিলগালা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।
ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান জানান, জব্দ করা আইসক্রিমের মধ্যে চকবার ছাড়াও রয়েছে কুলফি, কাঠি আইসক্রিম। তিনি বলেন, বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই দোতলা এই বাসার নিচতলায় দেড় বছর ধরে আইসক্রিম তৈরি করা হচ্ছিল। মিম আইসক্রিম ফ্যাক্টরির আইসক্রিমে ক্ষতিকর উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছিল। তা ছাড়া কারখানাটির পরিবশেও নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর। এখানে আইসক্রিম তৈরি করে ভ্যানে করে বিভিন্ন দোকান ও স্কুলের সামনে বিক্রি করা হতো।
দোষ স্বীকার করায় রিম আইসক্রিমের মালিক আলমগীর হোসেনের কাছ এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা করে কারখানাটি সিলগালা করা হয়।
অভিযানের সময় র্যাব-২-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও বিএসটিআই’এর প্রতিনিধি ফিল্ড অফিসার মো. শরীফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।