ধৈর্য হারানোয় সাকিবদের সিরিজ ড্র
চট্টগ্রাম. স্পোর্টস রিপোর্টার : ধৈর্য হারানোর ফলে সাকিবদের টেস্ট সিরিজ ড্র হলো। আর ইতিহাস রচনা হলো না। ভক্তরা হতাশ হলো। ব্যাটসম্যানরা নিজেদের মান অনুযায়ী ব্যাট করলে ইতিহাসে নাম লেখা হতো আজই। কিন্তু তা হলো-না। তবে শেষ বিকালে মোস্তাফিজ, তাইজুল আর সাকিবের জ্বলে ওঠায় লিডটা আরেকটু বেশি কেন হলো না- সেই আক্ষেপ পোড়াচ্ছে ভক্তদের।
ন্যাথান লায়নের ঘূর্ণি জাদুতে টাইগারদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৫৭-তে। অস্ট্রেলিয়ার সামনে সহজ টার্গেট আসে ৮৬ রানের।
সেই টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৪৮ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারালেও শেষ হাসি অজিবাহিনীরই। শেষ পর্যন্ত একদিন বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্মিথ বাহিনী।
ঢাকা টেস্টে অনেকটা নিষ্প্রভ মোস্তাফিজুর রহমান আইপিএল সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নারকে দ্বিতীয় ইনিংসেও সাজঘরে ফেরত পাঠান। ২০ বলে মাত্র ৮ রান করে ফিরে যান ওয়ার্নার। মোস্তাফিজের বল উঠিয়ে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারের সহজ ক্যাচে পরিণত হন তিনি।
এর আগে প্রথম ইনিংসেও সতীর্থ মোস্তাফিজের শিকার হয়েছিলেন অজিদের ব্যাটিং স্তম্ভ ওয়ার্নার। দুই ইনিংস মিলে মোস্তাফিজের উইকেট ৫। পরে ১৬ রান করা অজি অধিনায়ক স্টিফেন স্মিথকে ফেরান তাইজুল। মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
এরপর ম্যাট রেনশকে শিকারে পরিণত করেন সাকিব। তার বলে খোঁচা দিয়ে মুশফিকের হাতে ধরা পড়ে ফিরে যান তিনি। এর আগে অবশ্য করেন প্রয়োজনীয় ২২ রান। উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসে ৩০৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৩৭৭ রান করে ৭২ রানের লিড নেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভিন্ন কিছু: মুশফিক
স্পোর্টস রিপোর্টার : এই সিরিজ ছিল টিম গেম। এবার আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে খেলতে যাবো। সেখানে ভিন্ন কিছু অপেক্ষা করছে। বললেন বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় পেলেও দ্বিতীয়টিতে সাত উইকেটের পরাজয় মেনে তিনি এসব কথা বলেন।
মুশফিকুর রহিম বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাকিব ও তামিম নিজেদের সেরাটা দিয়েছে যা আমাদের জন্য ইতিবাচক পথ দেখাচ্ছে। তবে কেউ কেউ এ সিরিজে নিজেদের পূর্ণভাবে মেলে ধরতে পারেনি। আমি আশাবাদী দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভালো কিছুই উপহার দিতে পারব।তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ভিন্ন কন্ডিশনে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। এবারের মতো অবস্থা তৈরি হলে আমরা উতরে যাবার চেষ্টাই করব। কারণ এ সিরিজ থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখেছি।
অস্ট্রেলিয়া দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, আমরা জানতাম যে তারা ম্যাচে ফিরে আসতে চাইবে। কারণ তারা শক্তিশালী একটি দল। তিনি আরো বলেন, আমরা প্রথম ইনিংসে ৩৫০ রানের মতো চেয়েছিলাম। সেটা করতে না পারার খেসারত দিতে হয়েছে। ম্যাচ জেতা বা হারার মাঝখানে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। আরো প্রয়োজন।