• সোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ধর্ষক ছেলের পাপে বাপ চাচা জেলে


প্রকাশিত: ৮:২৮ পিএম, ২৪ অক্টোবর ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১৯ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  ধর্ষক ছেলের পাপে বাপ চাচা জেলে গেল অবশেষে। রাজধানীর রমনা, গুলশান, ধানমণ্ডি ও উত্তরা পূর্ব থানায় করা মুদ্রা পাচারের dildar-apon-www.jatirkhantha.com.bdপাঁচ মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তাঁর দুই ভাইকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিমের পৃথক দুই বিচারক এ আদেশ দেন। এর আগে দুপুর ১টায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আপন জুয়েলার্সের এই তিন মালিক।

ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, আসামি দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিন বাতিল হওয়ায় তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। বিকেল ৩টায় তাঁদের জামিন শুনানি শেষে আসামি দিলদার আহমেদকে ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এবং আসামি গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিন ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবিব নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আনিসুর আরো জানান, এর আগে গতকাল সোমবার রমনা থানার মামলায় দিলদারের এবং রোববার গুলজার ও আজাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এসব মামলায় তাঁরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিলেও নিম্ন আদালতে হাজির হননি। তাই তাঁদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ বনানীতে দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় কারাগারে আটক রয়েছেন। বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ‘অবৈধ সম্পদ’ খুঁজতে তাঁর প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে গত ১৪ ও ১৫ মে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠানটির গুলশান ডিসিসি মার্কেট, গুলশান এভিনিউ, উত্তরা, সীমান্ত স্কয়ার ও মৌচাকের পাঁচটি শোরুমে অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ মণ সোনা ও ৪২৭ গ্রাম হীরা সাময়িকভাবে জব্দ করা হয়।পরে ৪ জুন তিন দফা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আপন জুয়েলার্সের জব্দ করা স্বর্ণ ও হীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে মুদ্রাপাচারের অভিযোগে মামলা করে কাস্টমস।

পরে ৮ জুন ঢাকার সিএমএম আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এ্যানি। পরে ঢাকার নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ০২-এর বিচারক শফিউল আজম তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অন্য আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বন্ধু নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।

জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় মামলা করেন এক ছাত্রী। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটকে রাখেন।

অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে জোর করে ঘরে নিয়ে যান আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চেনেন মামলার বাদী। তাঁর মাধ্যমেই ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়। এ মামলার পাঁচ আসামির সবাই বর্তমানে কারাগারে আছেন।