ধর্ষকদের ‘ডার্টি মানি’ তহবিলে টান দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা
বিশেষ প্রতিনিধি : এবার ধর্ষকদের ‘ডার্টি মানি’ তহবিলে টান দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তাঁর ছেলে শাফাত আহমেদের যাবতীয় ব্যাংক হিসাব তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, ‘বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি যে বহুল আলোচিত ধর্ষণের ঘটনাটি চাপা দিতে বিপুল অর্থ খরচের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। আমরা এখন তদন্ত করে দেখছি এই অর্থের উৎস ডার্টি মানি কি না। এ ছাড়া তাঁদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ‘অস্বচ্ছ’ কি না, তা–ও খতিয়ে দেখছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর থেকে দিলদার ও শাফাত আহমেদের ব্যাংক হিসাব চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই দুজনের পাশাপাশি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপন জুয়েলার্সেরও ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশেই শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর বহুল আলোচিত আপন জুয়েলার্স, এর মালিক দিলদার আহমেদ ও শাফাত আহমেদের সার্বিক ব্যবসায়িক লেনদেনের তদন্ত শুরু করেছে বলে শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন ধর্ষণের শিকার হওয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এক পরিচিত ব্যক্তির জন্মদিনের পার্টিতে অংশ নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন তাঁরা। বনানীর রেইনট্রি হোটেলের দুটি কক্ষে আটকে রেখে তাঁদের ধর্ষণ করা হয়।
মামলার পাঁচ আসামি হলেন শাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও তাঁর দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটে গ্রেপ্তার হন শাফাত ও সাদমান। আজ শুক্রবার সকালে শাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়।