দেশের টানে মাঠ কাঁপাতে আসছে জোসেফ
নিল আনাম: দেশের টানে ফুটবলের মাঠ কাঁপাতে জামালের পর আসছে জোসেফ। জোসেফ রহমান খেলতে চান লাল-সবুজের জার্সিতে। ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় জাতীয় দলের ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই। ২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই জাতীয় দলে ইউরোপ-ভিত্তিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়দের দলভুক্ত করার পরামর্শ দেন বাফুফেকে। ক্রুইফ আশা করেছিলেন ইউরোপ-প্রবাসী বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর মধ্যে দুই-একজন হলেও ভালো ফুটবলার খুঁজে বের করা সম্ভব।
ক্রুইফের ইচ্ছানুযায়ী লাল-সবুজ জার্সির স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন ডেনমার্ক প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া। সেই জামাল এখন জাতীয় ফুটবল দলের অন্যতম নির্ভরতার প্রতীক। কেউ কেউ তো তাঁকে দলের অন্যতম প্রাণভোমরাও বলেন। জামালের মতোই দেশের জার্সি গায়ে চরানোর স্বপ্নে বিভোর সুইডেন-প্রবাসী জোসেফ রহমান।ইতালীয় কোচ ফাবিও লোপেজের সময়ই একবার ট্রায়াল দিয়ে গেছেন। অধিনায়ক মামুনুল ইসলামসহ অনেকেই তাঁর খেলা দেখে সনদ দিয়েছেন, ‘জোসেফ উন্নতমানের ফুটবলার।’
এখনো পাসপোর্ট হাতে পাননি, সে কারণে জাতীয় দলের স্কোয়াডেও থাকা হয়নি সুইডিশ ডিভিশন-৫-এর ক্লাব প্রয়োকনে খেলা এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের। তাঁর আশা, শিগগিরই পূরণ হয়ে যাবে দেশের হয়ে খেলার এই প্রাথমিক শর্ত। পাসপোর্ট পেয়েই তিনি ঝাঁপাবেন তিনি স্বপ্ন-পূরণের লক্ষ্যে। লাল-সবুজের হয়ে জাতীয় দলের খেলার স্বপ্ন।
ইউরোপে খেলেন কৌতূহল জানে, আসলেই কেমন ফুটবলার তিনি?তা জানা যাবে খুব শিগগির। সুইডেন-প্রবাসী ফুটবলার বলেছেন, ‘দেখুন, আমি মিথ্যা কোনো আশ্বাস কাউকে কখনোই দিই না। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে এসে জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছি। ফুটবল খেলতে পারি—এটা জানি। কতটা ভালো খেলি, সেটা তো বিচার করবেন বাংলাদেশ দলের কোচ। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, সুযোগ পেলে নিজেকে ভালোভাবেই প্রমাণ করতে পারব।’
তাঁর অর্জন সুইডিশ ডিভিশন-৫ লিগের অভিজ্ঞতা। সেখানে ‘দ্য ফেরারি’ তকমাটাও আছে তাঁর। প্রয়োকনকে ওপরের ধাপে তুলতে গত মৌসুমে খুব ভালো ভূমিকা ছিল। ইউরোপীয় ফুটবলের অভিজ্ঞতা এখন কাজে লাগাতে চান বাংলাদেশের ফুটবলে।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন। তাঁর আশা পাসপোর্টটা হয়তো এর মধ্যেই পেয়ে যাবেন। এরপরই বাংলাদেশের ফুটবল জগতের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সংযুক্ত হবেন ঢাকা আবাহনী ক্লাবের অনুশীলনে যোগ দিয়ে। আবাহনীর হয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলার ইচ্ছাও আছে তাঁর।
আবাহনীকেই তিনি বানাতে চান দেশের হয়ে খেলার সিঁড়ি, ‘আমি জানি, কোনো জাতীয় দলে জায়গা পাওয়াই সহজ নয়। জাতীয় দলে খেলতে হলে বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের একজন খেলোয়াড়কে পেছনে ফেলেই আমাকে দলে ঢুকতে হবে। আবাহনীতে ট্রায়াল দেব, আবাহনী যদি আমাকে পছন্দ না করে তাহলে অন্য ক্লাবে ট্রায়াল দেব। বাংলাদেশের জার্সি পরা আমার স্বপ্ন। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রমটাই করে যাব।