• রোববার , ১৯ মে ২০২৪

দেশের চলমান গুপ্তহত্যা থামানোর সক্ষমতা সরকারের আছ : ইনু


প্রকাশিত: ৩:১৯ পিএম, ৬ জুলাই ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৯ বার

স্টাফ রিপোর্টার   :   দেশের চলমান গুপ্তহত্যা থামানোর ক্ষমতা সরকারের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন 1তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।বুধবার সকালে রাজধানীর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁর হত্যাকাণ্ডকে সাময়িক ধাক্কা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি ঘটনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে থামানোর ক্ষমতা জঙ্গিদের নেই।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। পুরো সমাজ জঙ্গিবাদের বিপক্ষে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জঙ্গিবাদের বিপক্ষে। এজন্য দেশের ৬০ শতাংশেরও বেশি তরুণের মধ্যে গুটিকয়েক বিপথগামী তরুণের জন্য পুরো দেশ সংকটে রয়েছে বলে আমি মনে করি না।

হাসানুল হক ইনু বলেন, এখন যে সব তরুণের নিখোঁজদের সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিষয়ে জোর তৎপরতা চালানো হবে।তিনি বলেন, গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা ভারত, জাপান, ইতালি বা জাপানের ওপর হামলা নয়, এটা শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার জন্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা।

এ ধরনের হত্যাকাণ্ড রাষ্ট্র, সমাজ, সভ্যতা ও ধর্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার নামান্তর বলেও উল্লেখ করেন হাসানুল হক ইনু।তিনি বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, তাদের নানা বক্তব্যের মাধ্যমে জঙ্গিরা সুবিধা পাচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেই নিজের গায়ে জঙ্গির কাদা লাগাচ্ছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার জঙ্গি দমনে আন্তরিক। কিন্তু খালেদা জিয়া এই ইস্যুতে নিজের গায়ে নিজেই কাদা লাগিয়েছেন।তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া জঙ্গি ইস্যুতে জাতীয় সংলাপের কথা বলছেন। কিন্তু সশস্ত্র জামায়াত ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গি দমনের সংলাপ হতে পারে না। বিএনপিকে আগে এই ইস্যুতে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।

বিএনপির আমলে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল দাবি করে মন্ত্রী বলেন, গত সাত বছরে শেখ হাসিনার সরকার জঙ্গিবাদ দমনে নিরলসভাবে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ৭০ জন জঙ্গি মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে সাজার অপেক্ষায় রয়েছে।কোনো জঙ্গিকেই বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

জঙ্গি উৎপাতকে একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই উৎপাত বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক শক্তিকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করা হবে।