দেশব্যাপী ধর্ষণউত্তাপে কুষ্ঠিয়ার মাদ্রাসা সুপারের উপর্যুপরি ধর্ষণ
কুষ্ঠিয়া প্রতিনিধি : দেশব্যাপী ধর্ষণউত্তাপে কুষ্ঠিয়ার মাদ্রাসা সুপার উপর্যুপরি ধর্ষণ করেছে ছাত্রীকে। এ ঘটনার শিকার কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার এক ছাত্রী (১৩)। ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। উপর্যুপরি ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর পিতা থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদেরকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে।পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পোড়াদহ ইউনিয়নের অর্ন্তগত সিরাজুল ইসলাম দারুল উলুম মরিয়ম নেছা মহিলা আবাসিক মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাদের ৪ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোর পাঁচটার দিকে মাদ্রাসা ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর একই ভাবে রাত আটটার দিকে আবারও ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করা হয়।
উপর্যুপরি ধর্ষণের পর মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য কিশোরীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে সতর্ক করে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী তার এক সহপাঠীকে ঘটনাটি জানিয়ে দেয়। পরে ওই সহপাঠী ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পিতাকে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি তার মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে মিরপুর থানা পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে সোমবার কুষ্টিয়া ২৫০ শষ্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পিতা আফু বাদী হয়ে সোমবার মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
ঘটনাটি জানাজানির পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদ্রাসায় হামলা-ভাঙচুর চালায়। ওই মাদ্রাসায় ৩০/৩৫ জন ছাত্রী ছিলেন। এদিকে এ ঘটনার পর সব ছাত্রী মাদ্রাসা ছেড়ে চলে যান। ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাদের আত্মগোপন করেন। তবে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা সুপার কাদেরকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি মিরপুর উপজেলার চকপাড়া স্বরুপদহ গ্রামে। তিনি মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।মিরপুর থানার ওসি আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আসামিকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয় বলে ওসি জানান।